বরগুনায় অপহরণের ২৯ দিনেও উদ্ধার হয়নি এক কলেজছাত্রী। এদিকে তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ ঘটনায় বুধবার সকালে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা করলে বিচারক মো. মশিউর রহমান খান মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআই পটুয়াখালীকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন— বরগুনা সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের দুলাল গাজীর ছেলে সাদিকুল গাজী, লালু গাজীর ছেলে দুলাল গাজী, আছমত আলী খানের ছেলে আলম ও কালাম খানের স্ত্রী রহিমা।
জানা গেছে, বাদীর মেয়ে বরগুনা মহিলা সরকারি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। কলেজ শেষে বাসায় যাওয়া-আসার পথে সাদিকুল গাজী প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। কলেজছাত্রী তার বাবা-মাকে প্রথমে জানায়। তারা সাদিকুল গাজী ও তার বাবা-মায়ের নিকট অভিযোগ দেয়। এতে সাদিকুল গাজী ও তার বাবা-মা অপমান বোধ করেন। সাদিকুল গাজী অপমানের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে।এরই ধারাবাহিকতায় ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় কলেজছাত্রী বাসায় যাওয়ার পথে বরগুনা শহরের নাথপট্টি লেকের পূর্ব পাশ থেকে সাদিকুল গাজী ও কয়েকজন বখাটে কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। কলেজছাত্রীর বাবা জানতে পেরে তাকে বিভিন্ন স্থানে খুঁজে না পেয়ে সাদিকুল গাজীর বাবা-মায়ের নিকট গিয়ে তার মেয়ের সন্ধান চান। সাদিকুল গাজীর বাবা-মা কলেজছাত্রীর বাবা-মাকে অপমান করে। কলেজছাত্রীর মা ১৪ সেপ্টেম্বর বরগুনা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
কলেজছাত্রীর মা বলেন, আমার মেয়েকে সাদিকুল গাজী অপহরণ করে কোথাও আটকে রেখেছে। আমার মেয়ে একদিন ফোন করে বলেছে, সাদিকুল গাজী আমাকে আটক করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। সাদিকুল গাজীর মা-বাবা সবকিছু জানেন। তারা আমার মেয়েকে অপহরণের সহায়তা করেছেন। আমরা মেয়েকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে ৬ নভেম্বর বরগুনা থানায় মামলা করতে গেলে আমার মামলা নেয়নি। পরে আদালতে মামলা করেছি। ২৯ দিনেও আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে খুঁজে পাইনি। আমার মেয়ে বেঁচে আছে কিনা তাও জানি না।আসামি সাদিকুল গাজীর ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।বরগুনা থানার ওসি আলী আহম্মদ বলেন, থানায় একটি জিডি করেছে। মামলা করতে চায়নি। মামলা করতে চাইলে অবশ্যই মামলা নিতাম। বাদীর অভিযোগ সত্যি নয়।