গত মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বাগমারা উপজেলা উপজেলা ছাত্রলীগের ৯ সদস্যের একটি কমিটির অনুমোদন দেন। সম্মেলন ছাড়াই ১১ বছর পর এ কমিটি গঠন করা হয়।
এক বছগঠনের এক দিনের মাথায় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের কমিটিও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।র মেয়াদি কমিটি পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে বলেও জানানো হয়েছিল।
কমিটির সভাপতি করা হয়েছিল আবদুর রউফ ও সাধারণ সম্পাদক শিমুল হোসেনকে।
বাগমারা উপজেলা কমিটির অনুমোদন দেওয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগ তদন্তে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনে জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ চারজনের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া ছাড়াও জেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। একই সঙ্গে বাগমারা উপজেলা শাখার কমিটিও অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বিলুপ্ত হওয়া কমিটির সভাপতি আবদুর রউফ প্রথম আলোকে বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নিয়েছেন। পদ বড় বিষয় নয়, একজন মুজিব সৈনিক ও ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে থাকবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার নেতার সিদ্ধান্ত সব সময়ের মতোই আমার কাছে শিরোধার্য। আমৃত্যু কর্মী পরিচয়েই থাকব।’