তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জাপানী শিক্ষা মেথড কমুন দেশে ছড়িয়ে দিতে আগামী বছর থেকে আইসিটি বিভাগের ৩০০টি স্কুল অব ফিউচারে কুমন শিক্ষাক্রম চালু করা হবে। এছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিটি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবেও চালু করা হবে আনন্দদায়ক এই শিক্ষা।
রবিবার (৯ অক্টোবর) প্রতিমন্ত্রী সাভারের বিরুলিয়ায় ব্রাক সিডিএম এ জাপানি শিক্ষা মেথড “ব্রাক কুমন” প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক বিজয়ী ও অন্যান্যের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন ।
প্রতিমন্ত্রী গানে গানে শিশুদের জন্য সবুজ বাগান গড়ে তোলার প্রত্যয় জানিয়ে বিরুলিয়ার বিসিডিএম সেন্টারে কুমন জয়ীদের অনুপ্রাণিত করেন ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। অন্যানের মধ্যে বক্তৃতা করেন ব্রাকের প্রধান নির্বাহী আসিফ সালেহ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সারওয়াত আবেদ।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, জাপানি নাগরিক তরু কুমন ‘কুমন’ পদ্ধতির প্রবক্তা। তার ছেলে তাকেশি গণিতে দুর্বল ছিলেন বলে তার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এ গণিত শিক্ষক ১৯৫৮ সালে অভিনব এ পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন। এ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা সহজে গণিত ও ইংরেজি শিক্ষা লাভ করতে পারে। বিভিন্ন ধাপ বা লেভেলে শিক্ষার্থীরা ক্রমান্বয়ে এ পদ্ধতিতে এগিয়ে যায়। বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশের ৪০ লক্ষ শিক্ষার্থী কুমন পদ্ধতিতে গণিত ও ইংরেজিতে দক্ষতা লাভ করছে বলেও তিনি জানান।
সনদ ও পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে কে এম খালিদ বলেন, বাংলাদেশের শিশুদের সহজে গণিত ও ইংরেজি শেখাতে কুমন পদ্ধতির বিস্তার ঘটাচ্ছে ব্র্যাক। সেজন্য তাদের সাধুবাদ জানান। প্রতিমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্র্যাকের বিভিন্ন উদ্যোগ ও কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, আমি আশা করছি, জাপানি কুমন ম্যাথডের শিক্ষা পদ্ধতিটি জাতীয় পাঠ্যক্রমেও গ্রহণ করা হবে। ভবিষ্যত দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে মডেল হিসেবে প্রমাণিত হবে বলেও তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে “সত্য সুন্দর” রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়ে জাপানী রাষ্ট্রদূত শিশুদের উৎসাহিত করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় ব্রাকের সহায়তায় সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের ফ্যাবলেট আর সাইলেন্স পেনের মাধ্যমে সম্প্রতি চট্টগ্রামের হালুয়াঘাটেও শুরু হয়েছে এ জাপানি শিক্ষা মেথড ডিজিটাল কুমন।
উল্লেখ্য,দেশের ৪টি ব্রাক কুমন স্কুলের ৮৪ জনকে স্বর্ণপদকসহ ৩৩০ জনকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কৃত প্রদান করা হয়।