বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল আন্তর্জাতিক সৌর জোটের পঞ্চম অধিবেশনে যোগদান করে।
তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) অজয় মাথুরের সঙ্গে বৈঠক করে।বৈঠকে আইএসএ সাশ্রয়ী মূল্যে সৌরশক্তিকে সার্বক্ষণিক উপলব্ধ করার জন্য বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহায়তা ও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ডিজি। তিনি বাংলাদেশকে পাঁচটি খাতে সৌরশক্তি সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আইএসএর ন্যাশনাল ফোকাল পয়েন্ট নিরোদ চন্দ্র মন্ডল এসব জানিয়েছেন।খাতগুলো হলো সৌর সেচ সহযোগিতা, ছাদের ওপরে সোলার সিস্টেমের সম্প্রসারণ, ভাসমান সৌরব্যবস্থায় সহযোগিতা, গুদামে শীতল ও গরম করার জন্য সৌরশক্তি সরবরাহ নিশ্চিতকরণে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশে সৌরশক্তির প্রযুক্তিগত প্রয়োগ ও গবেষণাকেন্দ্র স্থাপন করা।
আন্তর্জাতিক সৌর জোটের (আইএসএ) এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে বাংলাদেশ সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছে। এ ছাড়া এ জোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে ভারত ও সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছে ফ্রান্স।
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক সৌর জোটের (আইএসএ) পঞ্চম সমাবেশে এ নির্বাচন হয়।এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ ও নতুন ও নবায়নযোগ্য শক্তিমন্ত্রী রাজ কুমার সিং সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে আন্তর্জাতিক সৌর জোটের পঞ্চম অধিবেশনের উদ্বোধন করেন।
২০টি দেশের মন্ত্রীরা ও ১১০টি চুক্তিবদ্ধ দেশের অভ্যাগতরা এবং ১৮টি সম্ভাব্য যোগদানকারী দেশ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে।আজ বুধবার ভারতের কর্মকর্তাদের সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ লক্ষ্যে একটি চুক্তি সই করতে মহাপরিচালক অজয় মাথুরে আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানিয়েছেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ ও নতুন ও নবায়নযোগ্য শক্তিমন্ত্রী রাজ কুমার সিং বলেন, আইএসএ সদস্য দেশগুলোকে সৌর প্রস্তুত নীতি প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও জাতীয় শক্তির প্রাকৃতিক ভূদৃশ্যগুলোর নিয়ন্ত্রণ উন্নয়নে এবং সরকারি-বেসরকারি খাতের সংস্থাগুলোর সঙ্গে জড়িত হতে সহায়তা করবে।
তিনি আরো বলেন, আইএসএ একটি আন্তর্জাতিক রিসোর্স হাব হিসেবে গঠন করা হয়েছে, যেখানে অভ্যন্তরীণ কারিগরি দক্ষতা রয়েছে, যা সদস্য দেশগুলোর দ্বারা সহজেই গ্রহণযোগ্য হবে। এ ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মানদণ্ড পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক সৌর জোট ১০০ সদস্য দেশ ও চুক্তিবদ্ধ দেশগুলোর একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। কার্বনমুক্ত ভবিষ্যতের জন্য সৌরশক্তিই একটি সুস্থায়ী পথ, তা প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে কাজ করার পাশাপাশি সৌরশক্তির সুবিধা সম্প্রসারণ এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা রক্ষা করে সংগঠনটি।
২০৩০ সালের মধ্যে সৌরক্ষেত্রে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ অর্জন করা সংগঠনটির লক্ষ্য।