শিরোনাম:
খন্দকার আইটির প্রতিষ্ঠাতা, খন্দকার মোঃ আলমগীর হোসেন- এর জন্মদিন আজ কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে চারজন আহত মিরপুরে গুলি করে টাকা ছিনতাই এর ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ মুশফিক শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের পথে বাংলাদেশ ট্রাম্পের হুমকির পর খামেনির বার্তা বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লেও বাংলাদেশের কোন ভয় নেই বলে জানিয়েছে অর্থ উপদেষ্টা ইসরাইলি হামলায় তেহরানে বাংলাদেশী দূতাবাস কর্মকর্তার বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইলি হামলায় গাজায় এক দিনে ৯০ জনের মৃত্যু পাবনায় গাছের সাথে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী একটি স্কুলছাত্রের মৃত্যু হবিগঞ্জের নয় বছরের শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ১০:৫০ অপরাহ্ন

আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া ৪ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়নি

প্রতিনিধির / ২৯৬ বার
আপডেট : বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২
আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া ৪ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়নি
আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া ৪ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়নি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পাওয়ায় তাদের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে দুর্যোগের সময় মানুষ, গবাদি পশু ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডব থেকে বাঁচতে ১৯ উপকূলীয় জেলায় ২ লাখ ১৯ হাজার ৬৯০ জন এবং ৪৫ হাজার ৪৪২টি গবাদি পশু আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করে। মোট ৭ হাজার ৪৯০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ধারণক্ষমতা ছিল ৪২ লাখ ৭৪ হাজার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্পে দুর্যোগসহনীয় ঘর পাওয়া উপকূলীয় ১৯টি জেলার প্রায় ৪ লাখ লোককে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডব থেকে বাঁচতে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, গত দুই বছরে উপকূলীয় ১৯ জেলায় ৬১ হাজার ৩৭৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুর্যোগসহনীয় ঘর প্রদান করা হয়। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সময় এসব ঘর পাওয়া প্রায় ৪ লাখ মানুষের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। আশ্রয়ণের ঘরগুলো দুর্যোগসহনীয় হওয়ায় কোনো ঘরের তেমন ক্ষতির সংবাদ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

কর্মকর্তারা জানান, আশ্রয়ণে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চেয়ে তৃতীয় ধাপের ঘরগুলো অনেক বেশি টেকসই। তৃতীয় ধাপে একেকটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা। তৃতীয় ধাপের ঘরগুলোতে আরসিসি পিলার, গ্রেড ভিম, টানা লিংকটারসহ বেশ কিছু বিষয় সংযোজন করা হয়। উপকূলীয় ১৯ জেলায় সর্বমোট ৬১ হাজার ৩৭৮টি ঘরের মধ্যে গোপালগঞ্জ জেলায় ৩৮০৫, শরীয়তপুরে ২৬৬২, কক্সবাজারে ৩৬৪০, চট্টগ্রাম জেলায় ৫০৪৩, চাঁদপুরে ৪০৮, লক্ষ্মীপুরে ৩২২৮, নোয়াখালীতে ৩৬২৮, ফেনীতে ১৬৫৯, সাতক্ষীরায় ২৯০৬, যশোরে ২১৫৩, খুলনায় ৩৯৫০, নড়াইলে ৮২৯, বাগেরহাটে ২৭৯৪, ভোলায় ৩৫২৯, পিরোজপুরে ৪৮৬৭, ঝালকাঠিতে ১৮৪২, পটুয়াখালীতে ৬৯৪১, বরগুনায় ২৬০০ এবং বরিশাল জেলায় ৪৮৩৪ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়া হয়।

ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদীভাঙনকবলিত ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ‘আশ্রয়ণ’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।

আশ্রয়ণ ও আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে ৫ লাখ ৭ হাজার ২৪৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগীদের মধ্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, হিজড়া ও বেদে সম্প্রদায়সহ সমাজের পিছিয়ে পড়া ভাসমান বিভিন্ন জনগোষ্ঠীও রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ