গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের মাটিতে আগ্রাসন চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। যুদ্ধের জেরে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের একাধিক এলাকা। মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। সম্প্রতি যুদ্ধের আবহে পরমাণু হামলার মহড়া শুরু করেছে রুশ সেনাবাহিনী। কয়েক দিন আগে, ইউক্রেনে নতুন করে হামলার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু তার পরও ইরানের ‘কামিকাজে ড্রোন’ দিয়ে ইউক্রেনের মাটিতে রাশিয়া হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
ড্রোন হামলার কিছু দিন আগেই, কিয়েভ-সহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর সেই প্রথম ব্যাপক হারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় মস্কো। ৮৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল ইউক্রেনে। সেই ঘটনার পর সোমবার আবার নতুন করে যে ভাবে ইউক্রেনের মাটিতে আগ্রাসন দেখাল রুশ বাহিনী, তাতে দু’দেশের মধ্যে উত্তাপ আরো বাড়ল।
আবার, যুদ্ধের আবহে শোনা গিয়েছে, প্রেসিডেন্ট পদ নাকি খোয়াতে পারেন পুতিন। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল বুদানভ দাবি করেছেন, পুতিনকে গদিচ্যুত করার জন্য রাশিয়ার প্রশাসনিক মহলে নাকি কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
ইউক্রেনে আবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের একাধিক শহরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে পুতিনের দেশ। এমনটাই দাবি করেছে ইউক্রেন। কিছু দিন আগেও কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল মস্কো।
বিবিসি সূত্রে খবর, কিয়েভে কমপক্ষে দু’টি বিস্ফোরণ হয়েছে। এই হামলার জেরে একাধিক এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও পানির সঙ্কটও দেখা গিয়েছে। বিবিসিকে ইউক্রেনের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তার জেলায় বিদ্যুৎ নেই। কিয়েভের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব শহর খারকিভেও হামলা চালানো হয়েছে। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সোমবারের হামলায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।