বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের ইতিহাসে কোনো স্বৈরশাসকই এমনি এমনি ক্ষমতা ছাড়েনি। আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরশাসকদের নামানো হয়েছে। দেশের জনগণ এবার ফুঁসে উঠেছে, এ সরকারকেও বিদায় নিতে হবে।তিনি বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে বানচাল করার জন্য শ্রমিকদের দিয়ে পরিবহণ ধর্মঘটে বাধ্য করছে। কিন্তু সরকারের কোনো কৌশলই জনস্রোত থামিয়ে রাখতে পারছে না।
সোমবার কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলায় একটি হোটেলে কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ।তিনি বলেন, সরকার দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে পারছে না। কারণ সরকারের হাতে এর লাগাম নেই। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করছে সরকারের বিশেষ একটি সিন্ডিকেট।তিনি আরও বলেন, এ সরকার ব্যর্থ একটি সরকার। এ সরকারের তথাকথিত প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন— লোডশেডিং বলতে কোনো শব্দ থাকবে না দেশে। অথচ আজ বাংলাদেশের চিত্র দেখেন, লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হচ্ছে।
দেশে আইনের শাসন নেই উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, যারা নেতাকর্মীদের গুম ও খুন করেছেন, তারা আইনের শাসন ফিরিয়ে দিতে পারবেন না। যারা দুর্নীতি করে লুটপাট করেন, তারা অর্থনীতিকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন না। যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছেন তারা কখনো গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারবেন না। সে জন্য দেশের মানুষ জাগ্রত হয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে হটাতে চাইছে। কিন্তু এ সরকার মানুষের সেই আন্দোলনকেও নস্যাৎ করার চেষ্টায় রয়েছে।আগামী ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশ বাস্তবায়নের প্রস্তুতি সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
এ সময় অন্যদের মধ্যে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি আমিনুর রশিদ ইয়াছিন, সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভূঁইয়া, মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী, নিজাম উদ্দিন কায়সার, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, সদস্যসচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান, সদস্যসচিব এএফএম তারেক মুন্সিসহ দলের অঙ্গ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।