পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ‘পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মিথ্যাবাদী’আখ্যা দিলেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
শেহবাজের মতে, ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর ‘নির্বাচকদের বিপজ্জনকভাবে মেরুকরণ’ করার জন্য সমাজে বিষ ছড়াচ্ছেন ইমরান খান।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ানকে’ দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ বলেন শেহবাজ শরিফ।
চলতি বছর পাকিস্তানকে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া এবং সম্প্রতি বন্যায় তিন হাজার কোটি ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতে হচ্ছে দেশটিকে। গত আগস্ট থেকে শুরু হওয়া বন্যায় দেশটিতে এক হাজার ৬০০ মানুষ মারা গেছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে আরও কয়েক কোটি জনগণ।
শেহবাজ শরিফ অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানের কথা বলে ক্ষমতায় গিয়েছিলেন ইমরান। কিন্তু তিনি তার ব্যক্তিগত এজেন্ডা অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করেছেন। তাকে ‘এই দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অনভিজ্ঞ, আত্মকেন্দ্রিক, অহংকারী, অপরিণত রাজনীতিবিদ হিসেবে বর্ণনা করা যেতে পারে।’
গত সপ্তাহে ইমরান খানের একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে। তাতে ক্ষমতায় থাকাকালে ইমরান খান ও তার সাবেক মুখ্যসচিব আজম খানের কথোপকথন ছিল। এতে দুজনকে বিদেশি ষড়যন্ত্র নিয়ে কথা বলতে শোনা গেছে। পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের আগে ইমরান খান দাবি করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুতের চেষ্টা করছে। তার সরকারকে ‘হুমকি দেওয়া হয়েছে’-এমন একটি চিঠি পাওয়ার দাবি করেছিলেন তিনি। ফাঁসকৃত ওই অডিওতে ইমরান খান হুমকি সংবলিত চিঠি নিয়ে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি এবং পররাষ্ট্র সচিবের মধ্যে বৈঠকের পরামর্শ দিয়েছিলেন আযজ খানকে।
শেহবাজ শরিফ ওই অডিও ক্লিপ প্রসঙ্গে বলেছেন, “অডিওগুলো ‘একটি অকাট্য সমর্থন যে তিনি (খান) পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মিথ্যাবাদী। আমি এটা আনন্দ নিয়ে বলছি না বরং বিব্রত এবং উদ্বেগের অনুভূতি দিয়ে বলছি। ব্যক্তিগত স্বার্থে বলা এসব মিথ্যাচারে আমার দেশের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।