ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ ২১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। শেষ দিকে ইয়াসির আলী দারুণ ব্যাটিং করলেও তা শুধুমাত্র পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে।
আজ শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। তবে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দেন নুরুল হাসান সোহান। দীর্ঘ ভ্রমণক্লান্তির কারণে এ ম্যাচ খেলতে পারেননি সাকিব।
প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান করে বাংলাদেশ।
১৬৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ২৫ রান তোলেন দুই ওপেনা মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান। তবে পরপর দুই ওভারে বিদায় নেন দুজনেই। ১১ বলে একটি ছয়ে ১০ রান করে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে আউট হন মিরাজ। আর হারিস রউফের বলে তাকেই ১৪ রানে ক্যাচ দেন সাব্বির।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। লিটন দাস ও আফিফ হোসেন মিলেন ৪০ বলে ৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তবে ১২ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ১৩তম ওভারে পরপর দুই বলে বিদায় নেন লিটন দাস ও মোসাদ্দেক হোসেন। লিটন ২৬ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৫ করেন। তাদের ফেরান মোহাম্মদ নওয়াজ। এরপর ২৩ বলে একটি চার ও ছয়ে ২৫ রান করা আফিফ শাহনওয়াজ দাহনির বলে মাঠ ছাড়েন।
১৯তম ওভারে তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান ওয়াসিম। তবে শেষ দিকে একাই লড়ে ঝড় তোলেন ইয়াসির আলী। তিনি অপরাজিত ৪২ রানে ইনিংস খেলেন। ২১ বলে এই ডানহাতি ৫টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে ৩টি উইকেট পান ওয়াসিম। নওয়াজ ২টি উইকেট দখল করেন।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান উদ্বোধনী জুটিতে ফিফটি তোলার পর অবশেষে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাবর আজমকে মোস্তাফিজুর রহমানের ক্যাচে ফেরান মিরাজ। ২৫ বলে ৪টি চারে ২২ করেন মিরাজ।
পাকিস্তানের দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন নাসুম আহমেদ। ৩১ রান করা শান মাসুদ তুলে মারলে ক্যাচ ধরেন হাসান মাহমুদ। ২২ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কা মারেন শান। তৃতীয় উইকেট দখল করেন তাসকিন আহমেদ। তার বল হায়দার আলী উড়িয়ে মারতে গেলেন বাউন্ডারিতে থাকা ইয়াসির আলী দারুণ ক্যাচ নেন।
ইফতিখার আহমেদকে ফিরিয়ে নিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন হাসান মাহমুদ। তবে ভয়ঙ্কর ব্যাটার আসিফ আলীকে দাঁড়াতে দেননি দারুণ বল করা তাসকিন। নিজের বলেই ক্যাচ নেন তিনি।
কিন্তু অন্যদের আসা-যাওয়ার মিছিলেও উইকেটে অবিচল থাকেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। টি-টোয়েন্টির সেরা এই ব্যাটার ২১তম হাফসেঞ্চুরির দেখা পান। শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশি বোলার তাসকিন ৪ ওভারে ২৫ রানে ২টি উইকেট পান।