এক বছরে দেশের শীর্ষ ১২ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের কাছ থেকে ১০ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে ৩৪ শতাংশ অর্থ ভোগ-বিলাসিতা আর অপ্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় করা হয়েছে। ব্যাংক ও মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) ৮৬টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এসব অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের কেন্দ্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।সম্প্রতি প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থ লেনদেন নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তবে বেশ কিছু ই-কমার্সের করপোরেট কাঠামো না থাকায় এ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। ব্যক্তিনির্ভর অনেক প্রতিষ্ঠানের হিসাব-নিকাশ হয় নিজস্বভাবে।
অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। শুধু ব্যাংক ও মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানে যেসব লেনদেন হয়েছে, সেই তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ৬ হাজার ১১৬ কোটি বা ৬৬ শতাংশ সরবরাহকারী ও বিক্রেতাকে দেওয়া হয়েছে। এটিকে স্বাভাবিক বলা হচ্ছে। তবে বাকি ৩৪ শতাংশ অর্থ অপ্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ খরচেরই কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। কারণ ছাড়াই এসব খরচ করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে অর্থ কোথায় গেছে তাও চিহ্নিত করতে পারেনি বিএফআইইউ।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বাড়ি-গাড়ি ও বিদেশ ভ্রমণসহ বিলাসী জীবনযাপনে এসব অর্থ ব্যয় করেছেন। এ ছাড়া ব্যবসার বাইরেও বা ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্ক নেই এমন খাতে ব্যয় করেছেন মোট টাকার ৬ শতাংশ বা ৫৯২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ ছাড়া বড় বড় ইভেন্টে স্পন্সর হিসাবে ৪৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। বিএফআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে। ৫২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ওপর তদন্ত করে ৩৩টির সারাংশ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।