গত ১১ অক্টোবর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মেহেদি রানা দাবি করেন, বিপিএল এবং ঘরোয়া লিগে ধারাবাহিক পারফর্ম করার পরও তিনি জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছেন না। জাতীয় দলে যোগ্যরা সুযোগ পাচ্ছেন না বলেও তিনি দাবি করেন।
উদীয়মান পেসার হিসেবে নজর কেড়েছিলেন মেহেদী হাসান রানা। বিপিএলেও দুর্দান্ত খেলেছেন তিনি। সেই মেহেদী হাসান রানা এক মাসের জন্য সব ধরনের ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ। বিসিবি থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে চলতি জাতীয় লিগে অংশ নিতে পারছেন না রানা।
এরপর তিনি এক নির্বাচকের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, ওই নির্বাচক তাকে ‘এ’ দলের অনুশীলনে যোগ দেয়ার কথা বলে পরবর্তী সময়ে তাকে এড়িয়ে যান। বারবার কল, মেসেজ দিয়েও তিনি ওই নির্বাচকের সঙ্গে আর দ্বিতীয়বার যোগাযোগ করতে পারেননি।
যদিও পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যে মেহেদি আবার সেটি সরিয়ে নেন। কিন্তু তার আগে বিষয়টি চলে যায় বিসিবির নজরে। এনিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করে বোর্ড। যেখানে নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেন মেহেদি রানা।
যার ওপর ভিত্তি করে সোমবারতাকে এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বোর্ড।বিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করায় মেহেদি রানাকে এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর তিনি বিসিবি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করেন এবং নিজের দোষ স্বীকার করে নেন। যেহেতু তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন, সেহেতু তাকে এক মাসের নিষেধজ্ঞার শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আগামী বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) তিনি খেলতে পারবেন।’