কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের ঘটনায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষক রফিকুল ইসলাম ওরফে রাপু (৪৬) কে পুলিশ এখন গ্রেফতার করতে পারেনি। প্রতিবন্ধী’র ভাই আব্দুল পান্নু ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং-১৯ তাং-১৯-১০-২০২২ ইং, ধারা ২০০০ সালের নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী-২০০৩) ধারা ৯(১)।
এরই সুত্র ধরে আসামি ভেড়ামারা সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে (১৬) দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনে পর্নগ্রাফী ভিডিও দেখিয়ে তাকে আসক্ত করে পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে ।কাঠ ব্যাবসায়ী রফিকুল ইসলাম ওরফে রাপু তার কাঠের ব্যবসায়ীর দোকানে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। সে পাঁচ মাসের গর্ভবতী হলে কাঠ ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ওরফে রাপু তাকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাত করায়। এই ঘটনা এলাকায় জানাজানি হয়। এই বিষয়টি পরবর্তীতে পরিবারের সবার সামনেই কাঠ ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ওরফে রাপুকে শ্রবণ প্রতিবন্ধী চিহ্নিত করেন।
মামলার বাদী আব্দুল পান্নু জানান, ভেড়ামারার পূর্ব সাতবাড়ীয়া মাজার রোড এলাকার কাঠ ব্যাবসায়ী রফিকুল ইসলাম ওরফে রাপু আমার বোন এসএসসি পরীক্ষার্থী ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। আসামি রাপু একজন বিকৃত মানসিকতার মানুষ। রফিকুল ইসলাম ওরফে রাপু কাঠের ব্যবস্যা রয়েছে। আমার বাড়ির সামনেই আসামির কাঠের ব্যবসার দোকান রয়েছে।ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা জানান, ভেড়ামারার পূর্ব সাতবাড়ীয়া মাজার রোড এলাকার মৃত তৈমুদ্দিন মন্ডলের ছেলে কাঠ ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ওরফে রাপু একই এলাকার এসএসসি পরীক্ষার্থী ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে ভেড়ামারা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামি কাঠ ব্যাবসায়ী রফিকুল ইসলাম ওরফে রাপুকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।