রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ অপরাহ্ন

করোনাকালীন লেখাপড়ার ঘাটতিতে মানসিক চাপে শিক্ষার্থীরা

প্রতিনিধির / ১৪৯ বার
আপডেট : সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২
করোনাকালীন লেখাপড়ার ঘাটতিতে মানসিক চাপে শিক্ষার্থীরা
করোনাকালীন লেখাপড়ার ঘাটতিতে মানসিক চাপে শিক্ষার্থীরা

পড়াশোনা নিয়ে মানসিক চাপে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। করোনার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকালীন পড়াশোনায় যে ঘাটতি তৈরি হয়েছিল, তা কাটিয়ে উঠতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে। এতে শিক্ষার্থীদের প্রাত্যহিক জীবনে যেমন প্রভাব পড়ছে, তেমনি তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এমন বাস্তবতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত চেষ্টার পাশাপাশি পরিবার, রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে আসতে হবে।

 

করোনা মহামারির মধ্যে দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় বন্ধের পর গত বছরের অক্টোবরে ক্রমান্বয়ে খুলে দেওয়া হয় দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এমন দীর্ঘকালীন বন্ধে বড় ক্ষতির মুখে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি সেশনজট কাটাতে সেমিস্টারের সময়ও ৬ মাসের জায়গায় ৩ থেকে ৪ মাসে কমিয়ে আনা হয়।

কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অ্যাকাডেমিক চাপে বড় ধরনের মানসিক চাপে পড়েন তারা। এর মাঝে পারিবারিক নানা সমস্যা যুক্ত হয় বলেও জানান তারা।

বিশেষজ্ঞারা জানান, শিক্ষার্থীদের এমন মানসিক সমস্যাকে আরও দ্বিগুণ করেছে ইলেকট্রনিক ডিভাইস আসক্তি এবং ক্লাসের ধরণ। ফলে বাড়ছে হঠাৎ চুপচাপ হয়ে যাওয়া কিংবা নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার প্রবণতা।

শিক্ষার্থীদের এমন সমস্যার কথা স্বীকার করেন সংশ্লিষ্টরাও। তারা বলেন, এর থেকে বেরিয়ে আশা কিছুটা কঠিন। আর শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে সাইকিয়াটিস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান, শাবিপ্রবির সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম।

শাবিপ্রবির কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট ফজিলাতুন নেসা মনে করেন, পরিস্থিতির উত্তরণে পরিবার, রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেই এগিয়ে আসা উচিত। তবে সবচেয়ে বেশি জরুরি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত চেষ্টা।

এদিকে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও পরিবারে সময় দেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ