চলমান করোনা মহামারিতে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন ৬৫৪ জন। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৬৫ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮৫ জনে। এ সময়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হন ৩ লাখ ১৬ হাজার ৪২৬ জন। এতে করোনা মোট রোগী বেড়ে দাঁড়ালো ৬১ কোটি ৯৯ লাখ ৫২ হাজার ৯৪ জনে।রোববার সকালে করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য মিলেছে।ওয়ার্ল্ডোমিটারর্সের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে জাপানের মানুষ। এ সময়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হন ৬৪ হাজার ৫৩ জন এবং মারা যান ৮৫ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৬ জন আক্রান্ত এবং ৪৪ হাজার ২৬২ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে, করোনায় দৈনিক মৃত্যুর তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ভাইরাসে আক্রান্ত হন ৫১ হাজার ২৬৯ জন এবং মারা যান ১১১ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ২ কোটি ৭ লাখ ৪৬ হাজার ১৬৩ জন এবং মারা গেছেন ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬৬২ জন।যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৩৭৭ জন এবং মারা গেছেন ৭৫ জন। এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৭৮ লাখ ৯৫ হাজার ৮৬০ জন করোনায় আক্রান্ত হন এবং মারা গেছেন ১০ লাখ ৮১ হাজার ৭০৮ জন। এ সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হন ২৯ হাজার ৩১৫ জন এবং মারা যান ৬৩ জন।
গত একদিনে ফ্রান্সে করোনা আক্রান্ত হন ৩৮ হাজার ২৪ জন। এ দেশটিতে ৩ কোটি ৫১ লাখ ২৫ হাজার ৬৮১ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৭ জন মারা গেছেন। একই সময়ে ফিলিপাইনে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬২৩ জন এবং মারা গেছেন ২৯ জন।ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর তালিকায় দ্বিতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ২১ জন এবং নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৮৩৪ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৭৩ হাজার ২২১ জন এবং মারা গেছেন ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৮৩৭ জন।
গত একদিনে ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৩৬০ জন এবং মারা গেছেন ৪৩ জন। এ দেশটিতে মোট ২ কোটি ২২ লাখ ৮৪ হাজার ৮১২ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৬৭ জন মারা গেছেন। একই সময়ে তাইওয়ানে করোনায় মারা যান ৫১ জন এবং নতুন সংক্রমিত হন ৩৮ হাজার ৩২৪ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।