চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের ওয়াল্টন কারখানার সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় জুবায়ের নামে (১৮) এক কলেজ ছাত্র নিহতের ঘটনা রহস্যজনক বলে অভিযোগ উঠেছে। হাইওয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
শনিবার (৮সেপ্টম্বর) রাতে চন্দ্রা নবীনগর সড়কের ওয়াল্টন কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কলেজ শিক্ষার্থী বরিশাল জেলার সদর থানার শহীদুল ইসলামের ছেলে জুবায়ের হোসেন (১৮)। সে আশুলিয়া ডি কলেজের ছাত্র।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দু’টি মোটরসাইকেল নিয়ে চার বন্ধু মিলে শনিবার সকালে আশুলিয়া বাতানটেক এলাকা থেকে রওয়ানা দেয় জুবায়ের । পরে টাঙ্গাইল ও চৌরাস্তা দিয়ে ঘুরে রাতে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। পরে চন্দ্রা এলাকায় ওই বন্ধুরা কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করে। পরে চন্দ্রা থেকে তারা রওয়ানা দিয়ে নবীনগর মহাসড়কের ওয়াল্টন কারখানার সামনে পৌঁছালে সড়কে থাকা অজ্ঞাত একটি পিকআপ দাঁড়ানো দেখে মোটরসাইকেল ছিনতাই হবে এমন ভয়ে মোটরসাইকেল ফেলে নিজেকে বাঁচানোর জন্য দৌড়িয়ে চলে যাবার সময় চন্দ্রা থেকে অজ্ঞাত একটি ট্রাক জুবায়েরকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। জুবায়ের মরদেহটি খণ্ড বিখণ্ড হয়ে সড়কে পড়ে থাকে।
জানা যায়, ওই স্থানে বিগত দিনেও ডাকাতি, ছিনতাইসহ অনেক ঘটনা ঘটেছে। এসময় অন্য বন্ধুরাও ভয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চন্দ্রা চলে যায়। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ খবর ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করলেও মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করতে পারিনি।
রোববার (৯ অক্টোবর) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সালনা (কোনাবাড়ি থানা) হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) চান মিয়া জানান, মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দুর্ঘটনা এলাকার সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে। ফুটেজ পেলে জানা যাবে কি ঘটনা ঘটেছে।