গত সেপ্টেম্বরের শেষদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গণভোট আয়োজন করে ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চলকে রাশিয়া তার অংশ করে নিয়েছিল খেরসন তার একটি। তবে সেখান থেকে সেনা সরিয়ে আনার পর ওই গণভোটের ফলাফল কিংবা রুশ ফেডারেশনের খেরসনের অন্তর্ভুক্তির পরিণিত কী হবে এখনও তা স্পষ্ট নয়।
ইউক্রেন থেকে দখলকৃত খেরসন শহরে চরম বেকায় পড়েছে রুশ সেনারা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে সেখান থেকে অবিলম্বে সেনাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু।রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের সেনাদের পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
খেরসন অঞ্চলের রাজধানী খেরসন শহরের অবস্থান নিপরো নদীর পশ্চিম তীরে। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী খেরসন শহর থেকে সরে নিপরো নদীর পূর্ব তীরে সেনাদের অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর নেতৃত্বে আছেন জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন।টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে সুরোভিকিন বলেছেন, খেরসন শহরে রুশ সেনাদের রসদ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। জেনারেল সুরোভিকিন এমন কথা জানানোর পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোইগু রুশ সেনাদের ওই শহর ছাড়ার নির্দেশ দেন।
ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন সের্গেই সুরোভিকিন ও সের্গেই শোইগু। যুদ্ধ পরিস্থিতি বর্ণনা করে সেখানে সুরোভিকিন বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতির সব দিক মূল্যায়ন করে খেরসন শহর ছেড়ে নিপরো নদীর পূর্ব তীরে অবস্থান নেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছি। আমি জানি এটা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত। কিন্তু একই সঙ্গে এর মাধ্যমে আমরা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেনাসদস্যদের প্রাণ বাঁচাতে পারব।”
সুরোভিকিনের এ কথার পরপরই প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগু বলেন, “সেনাদের সরানো শুরু করুন।”