অনিয়মের কারণে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ৪৩ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
সকাল সাড়ে নয়টার দিকে দহিচরণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আদর্শ কলেজ কেন্দ্রে লাঠি নিয়ে হামলা চালায় একদল যুবক। পরে ওই দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

এর আগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টায় শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

বুধবার সকালে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়বে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনি কমকর্তারা।

১৪৫টি কেন্দ্রেই ভোট নেয়া হচ্ছে ইভিএম-এ। সবকটি ভোটকেন্দ্রেই বসানো হয়েছে সিসিটিভি। নির্বাচনি এলাকায় তিন হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান, জাতীয় পার্টি মনোনীত এএইচএম গোলাম শহীদ, বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ এবং সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।

জানা যায়, নির্বাচনী মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন পুলিশ সদস্য ও ১২ জন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ভোটের মাঠে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ৯টি টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি ও ৫টি সাদা পোশাকের স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্বে রয়েছেন। তাছাড়া ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে আছেন। এছাড়া ১ হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকছে সবগুলো ভোটকেন্দ্র।

গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে মিলে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন।

এ উপ-নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।