গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় ইসি ভোট গ্রহণসহ এ সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন।জাতীয় সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে সেখানে উপনির্বাচন করতে হবে। ঐ ৯০ দিনের মেয়াদ আজ বৃহস্পতিবার শেষ হবে।
কিন্তু সম্পূর্ণ নির্বাচনি এলাকার ভোট গ্রহণ বন্ধঘোষিত হওয়ার কারণে ৯০ দিনের মধ্যে পুনর্নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী আট দিনের (১২ অক্টোবর থেকে পরবর্তী আট দিন) মধ্যে তা পূরণ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ অবস্থায় সংবিধানের বিধান মতে, কোনো দৈবদুর্বিপাকের কারণে নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যে ঐ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ঐ নির্বাচন অনুষ্ঠান করার বিধান রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার ও দায়িত্ব সিইসির।
‘ব্যাপক অনিয়মের’ কারণে বন্ধঘোষিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন করার জন্য সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে আরো ৯০ দিন সময় পেল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে উপনির্বাচন আয়োজনের জন্য দৈবদুর্বিপাক দেখিয়ে অতিরিক্ত ৯০ দিন সময় নিলেন। গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান ইসির যুগ্ম-সচিব ও জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান।
সিইসি পূর্ববর্ণিত উদ্ভূত অবস্থাটি অনাকাঙ্ক্ষিত, অকল্পনীয় ও নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত বিবেচনায় দৈবদুর্বিপাক গণ্য করে চলতি অক্টোবর মাসের ২০ তারিখের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে তথা আগামী ২০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখের মধ্যে জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সংবিধানের এই ক্ষমতাটি এর আগে সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদা প্রথমবারের মতো প্রয়োগ করেছিলেন। সে সময় করোনার প্রাদুর্ভাবকে দৈবদুর্বিপাক দেখিয়ে কয়েকটি উপনির্বাচনের মেয়াদ পরবর্তী ৯০ দিন সময় নিয়েছিলেন তিনি।