মৌচাক এলাকার চার হাজার শ্রমিকের একটি পোশাক কারখানায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ পিএসআই গ্যাস হলেও কার্যক্রম অন্তত স্বাভাবিক থাকে। ক্রমান্বয়ে গ্যাসের প্রেশার কমে যাওয়ায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখতে দুই শিফটে চালাতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠাটি।গাজীপুরে বিদ্যুৎ, গ্যাস সংকটে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বিঘ্নিত হচ্ছে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমেছে উৎপাদন।
অন্যদিকে ঘনঘন বিদ্যুৎবিভ্রাটে বাড়ছে পণ্যের উৎপাদন ব্যয়ও। বিজিএমইএ বলছে, বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে সময়মতো অর্ডার সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে হুমকিতে পড়বে দেশের তৈরি পোশাকশিল্প।
দেশের সবচেয়ে বড় রফতানিমুখী এই শিল্প নিম্ন আয়ের মানুষের জীবিকা নির্বাহেও বড় ভূমিকা রাখে। সম্প্রতি গাজীপুরের বেশির ভাগ শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো চাহিদার তুলনায় জ্বালানি সংকটে পড়েছে।
স্টাইলিশ গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদা চৌধুরী মিশা বলেন, বিদ্যুৎবিভ্রাটের কবলে বাড়ছে পণ্যের উৎপাদন ব্যয়। এতে উৎপাদনে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে অনেক।
বিজিএমইএ-র সহসভাপতি নাসির উদ্দিন বলেন, চলমান সংকট দ্রুত মোকাবিলা করতে না পারলে বিশ্ববাজারে হুমকিতে পড়বে দেশের তৈরি পোশাকশিল্প।
শিল্প পুলিশের তথ্যমতে, গাজীপুরে প্রায় ২ হাজার ১৬৫টি নিবন্ধিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে পোশাক কারখানা ১ হাজার ১৮৭টি।