গত ২১ অক্টোবর দুপুরে ৪/৫ যুবক গাজীপুর মহানগরীর টেকনগপাড়ার রাস্তা থেকে ভিকটিম কিশোরী ও তার ছোটভাইকে তুলে দক্ষিণ সালনার বাতানিয়া টেক এলাকার জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পরিত্যক্ত টিনশেড বাড়ির ভেতরে নিয়ে কিশোরীকে সংঘবদ্ধভাবে চার যুবক ধর্ষণ করে। পরে কিশোরী সুযোগ পেয়ে পালিয়ে এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেন।
অন্যদিকে ঘটনার পর যুবকেরা পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও এলাকাবাসী হৃদয় ও মনির নামে দুই যুবককে আটক করে। তবে প্রধান আসামি জাহিদুল ইসলাম ও তার অপর সহযোগী নাসিম পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। ভিকটিম চাকরির সন্ধানে ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকায় এসেছিল বলে জানা গেছে।
গাজীপুরে ছোটভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পোশাক শ্রমিক কিশোরীকে (১৬) সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি জাহিদুল ইসলামকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টায় শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া (চন্নাপাড়া) এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার জাহিদুল গাজীপুর মহানগর সদর থানাধীন দক্ষিণ সালনা এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে।র্যাব-১ পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর এএসএম মাইদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব-১ পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জি. এম মাজহারুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে সালনা এলাকায় কিশোরীকে ধর্ষণের প্রধান আসামি জাহিদুল শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া এলাকায় পালিয়ে আছে। পরে র্যাব সদস্যরা ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার নানা আজগর গুরুর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি পোশাক শ্রমিক কিশোরীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে। পরে তাকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি) সদর থানায় সোপর্দ করা হয়।
জিএমপির সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, রাত ১১টায় ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জাহিদুল ইসলামকে থানায় নিয়ে আসে র্যাব। আজ শনিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।