গরমে ঘাম নিয়ে সবাই থাকে অস্বস্তিতে, আর তাই সবাই খুঁজে বেড়ায় ঘাম থেকে মুক্তির পথ। কিন্তু জানেন কি! ঘামেরও রয়েছে শারীরিক বেশ কিছু উপকারিতা।
তাহলে চলুন জেনে নিন:
টক্সিন দূর করে
সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যায়ামের মাধ্যমে প্রচুর ঘামতে পারলে শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন (ক্ষতিকর কোলেস্টেরল) বেরিয়ে আসে।
ব্যথা কমে:
হঠাৎ ঘাড়ে বা হাতে বেশ ব্যথা হলে ঘরেই হালকা গা ঘামানোর ব্যায়াম করে ফেলুন।চিকিৎসকদের মতে, ব্যায়াম মস্তিষ্কের বিশেষ অংশকে উত্তেজিত করে। এতে শরীরে অ্যান্ডরফিন হরমোন বেড়ে যায়। যা স্বাভাবিকভাবে ব্যথা উপশমে কার্যকরী।
শরীর পরিষ্কার রাখে
ঘামই শরীরের ভেতরকার এবং ত্বকের উপরিভাগের ময়লা বের করে আনে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেকাজ করার সময় শরীরের তাপমাত্রা একটু একটু করে বাড়তে থাকে। ঘাম এই অতিরিক্ত তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে
জার্মানির এবারহার্ড কার্লস ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, ঘামের সঙ্গে ডার্মসিডিন নামে এক ধরনের অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল পেপটাইড নিঃসরণ হয়। এটা সংক্রমণরোধ করতে সাহায্য করে।
ঘাম হওয়া ভালো, তবে অতিরিক্ত ঘামের ফলে শরীরে পানিশূন্যতা হতে পারে। গরমে প্রচুর পানি পান করুন, সঙ্গে টাটকা ফল খান।
গরমের সময়ে শরীরের ঘাম ও ময়লা দূর করতে দিনে অন্তত দুইবার গোসল করুন।