গত সোমবার সকালের জোয়ারে কয়রা উপজেলার হরিণখোলা এলাকার বেড়িবাঁধে ধস শুরু হয়। রাত ৩টার দিকে বেড়িবাঁধের বেশিরভাগ অংশ ধসে যায়। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন স্থানীয় লোকজন।
তাদের অভিযোগ, ৬ মাস আগে বেড়িবাঁধটি নতুন করে নির্মাণ করা হলেও তা ধ্বসে গেছে। মূল বাঁধের দুই পাশে মাটি দেওয়া হলেও ভেতরে সব বালু দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোর থেকে পাউবোর তত্ত্বাবধায়নে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধের সংস্কার কাজ শুরু করে।
ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কারের সময় পাউবোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে খুলনা জেলায় ৪৬ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া ১ হাজার ৪০০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধানে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামত শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে খুলনা জেলায় ৪৬ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া এক হাজার ৪০০ ঘরবাড়ি, দেড় হেক্টর ফসলি জমি, এবং দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতির নিরূপণ কাজ চলছে।
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ডিআরআরও) রণজিৎ কুমার সরকার বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে খুলনা জেলায় ৪৬ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া এক হাজার ৪০০ ঘরবাড়ি, কয়রা উপজেলায় দেড় হেক্টর ফসলি জমি। কয়রা ও দাকোপ উপজেলায় দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতির নিরূপণ কাজ চলছে। এ কাজ শেষ হতে দু-তিন লাগবে। কাজ শেষ হলে বিস্তারিত জানানো যাবে।