বিদায়ী অর্থবছরে আয়ের নতুন রেকর্ড গড়েছে দেশের অর্থনীতির স্বর্ণদ্বার খ্যাত চট্টগ্রাম বন্দর। পাঁচ বছরে চট্টগ্রাম বন্দরের মোট আয় বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরের মোট আয় ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। ব্যয় ও কর বাদ দিয়ে নিট আয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৫ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান জানিয়েছেন, ২০২০-২১ অর্থ বছরে নিট আয় ছিল ৬৯৮ কোটি টাকা। কন্টেইনার ও পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের পাশাপাশি নিট আয়েও এই বছর রেকর্ড গড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে এসব অর্থ ব্যয় করা হবে।
সাধারণত পণ্য সংরক্ষণ, যন্ত্রপাতি ব্যবহার, টার্মিনাল ভাড়া, স্টাফিং-আনস্টাফিং বাবদ ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে নেওয়া মাসুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। এছাড়া, জেটি- নদী- টাগবোট ভাড়াসহ আরও কিছু খাত থেকে আয় হয়। টাকাগুলো বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পে দ্রুত বিনিয়োগের পরামর্শ বন্দর ব্যবহারকারীদের।
গত অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ভিড়েছে ৪ হাজার ২৩১টি। আর এসব জাহাজে প্রায় ৩১ লাখ একক কন্টেইনার ও ১১ কোটি ৮২ লাখ মেট্রিকটন খোলাপণ্য হ্যান্ডলিং করেছে বন্দর।
চট্টগ্রাম বন্দরে বিগত পাঁচ অর্থবছরে মোট আয় ও নীট আয়:
২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট আয় ৩, ৫৮৫ কোটি টাকা। নিট আয় ১০৭৫ কোটি টাকা।
২০২০-২০২১ অর্থবছরে মোট আয় ৩,০৭০ কোটি টাকা। নিট আয় ৬৯৮ কোটি টাকা।
২০১৯-২০২০২ অর্থবছরে মোট আয় ৯২৪ কোটি টাকা। নিট আয় ৬৮৬ কোটি টাকা।
২০১৮-২০১৯২ অর্থবছরে মোট আয় ৯৩১ কোটি টাকা। নিট আয় ১০০৩ কোটি টাকা।
২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে মোট আয় ২,৬৬১ কোটি টাকা। নিট আয় ৮৩৫ কোটি টাকা।
বিদায়ী অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা আয়ে অপারেশনাল কাজ ছাড়াও সঞ্চিত অর্থ থেকে ব্যাংকের দেওয়া বিপুল পরিমাণ সুদেরও ভূমিকা রয়েছে। এসব আয়ের টাকা ফেলে না রেখে মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি উন্নয়ন প্রকল্পে দ্রুত বিনিয়োগের পরামর্শ বন্দর ব্যবহারকারীদের।