দেশের চালের বাজারে ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকার গত ৩১ জুন নানা শর্ত দিয়ে বেসরকারি পর্যায়ে সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এরপর ১৩ জুলাই থেকে চাল আমদানি শুরু হয়। এতে চালের বাজারের দর নিম্নমুখী হতে শুরু করে।
কিন্তু হঠাৎ করে গত ৯ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার আতপ ও খুদ চাল আমদানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এতে আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় লোকসানের ভয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। যার প্রভাবে কেজিতে আতপ চালের দাম ৮ টাকা বেড়েছে। আগে আতপ চাল ৩৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকায়।
এদিকে সিদ্ধ চাল আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও নানা অজুহাতে স্থানীয় বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে।এর পেছনে ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের সিন্ডিকেট দায়ী বলে অভিযোগ করেন ভোক্তারা। তিনি বলেন, ভারত থেকে যে চাল এসেছে, তার দাম তো কমেনি। আমরা গরিব মানুষ এত দাম দিয়ে কীভাবে চাল কিনে খাব?
তবে আমদানিকারকরা বলছেন, হঠাৎ করে আতপ চালের ওপর শুল্ক বাড়ানোয় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। এক চাল আমদানিকারক বলেন, ভারত ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ফলে এ সময়ে আমাদের পক্ষে চাল আমদানি করা সম্ভব নয়। ভারতে আমাদের বহু চালের গাড়ি আটকে রয়েছে।এদিকে আতপ চাল আমদানি বন্ধ থাকলেও সিদ্ধ চাল আমদানি স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক আবদুল জলিল। তিনি বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে যাতে দ্রুত চাল খালাস করা হয়, আমরা সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
উল্লেখ্য, গত ২ মাস ১০ দিনে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪ হাজার ৩৯২ টন আতপ চাল ও ২৩ হাজার টনের বেশি সিদ্ধ চাল আমদানি হয়েছে।