আঘাত এলে দ্রুত পাল্টা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী চি কুও চেং। চলমান পরিস্থিতির মধ্যেই তাইপের সঙ্গে যৌথভাবে অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
শি জিনপিংয়ের বক্তব্যকে মোটেও ভালোভাবে নেয়নি তাইওয়ান। বুধবার (১৯ অক্টোবর) স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী চি কুও চেং হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, চীনের আক্রমণ ঠেকিয়ে নিজ ভূখণ্ড রক্ষায় পুরোপুরি প্রস্তুত তাইওয়ান।
বেইজিং আক্রমণের সময় এগিয়ে আনুক কিংবা পিছিয়ে দিক, তাইপের সামরিক বাহিনী অলস বসে না থেকে পাল্টা হামলার জন্য তৈরি আছে বলেও জানান তিনি।এ পরিস্থিতির মধ্যেই তাইপের সঙ্গে যৌথভাবে অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, নিজেদের নকশার অস্ত্র বাড়াতে চায় বাইডেন প্রশাসন। এসব অস্ত্র চীনের বিরুদ্ধে লড়তে তাইওয়ানকে সরবরাহ করা হবে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।
দীর্ঘদিন ধরেই তাইওয়ান প্রণালিসহ নানা ইস্যুতে চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। গত আগস্টে মার্কিন কংগ্রেস প্রতিনিধি ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের পর আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তাইওয়ান প্রণালি।এ প্রণালিকে ঘিরে যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে সামরিক মহড়া চালায় চীন।
জবাবে অঞ্চলটিতে যুদ্ধ জাহাজের টহল দিয়ে ওয়াশিংটন পাল্টা হুঁশিয়ারি দেয় বেইজিংকে। সবশেষ তাইওয়ানকে একত্রীকরণে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তাইওয়ান প্রণালিকে অশান্ত না করার আহ্বান জানিয়েছে চীন। এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক চীন নীতিতে বিশ্বাস করলে তাইপেকে বেইজিং থেকে আলাদা করতে চাওয়া ষড়যন্ত্রকারীদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে হবে মার্কিন প্রশাসনকে।
তাইপে প্রণালিতে শান্তি বজায় রাখতে হলে তাইওয়ানকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে গঠনের পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।