কমবেশি সবাই চুল পড় সমস্যায় ভোগেন। কারও ক্ষেত্রে আবার রুক্ষ চুলের সমস্যা যেন আর ঠিক হয় না। এইসব সমস্যার পিছনে অনেক সময় আমরা নিজেরাই দায়ী।।
তার কারণ হল, চুলের সঠিক যত্ন না নেওয়া। ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে শুতে যাওয়া পর্যন্ত চুলের যত্ন নিতেই হবে।
সারাদিন চুলের যত্ন নেবেন যেভাবে-
সকালে উঠে যা করবেন
রাতে ঘুমানোর সময়ে চুলে নানারকমভাবেই চাপ পড়ে। ঘষা লাগে। চুলে সামান্য হলেও জট পড়ে যায়। বড় চুল হলে সেই সমস্যা হয় আরও বেশি। এরকম নানা সমস্যাতেই আমরা ভুগতে থাকি। তাই সকালে উঠে যদি চুল সেভাবেই রেখে দেন, তাহলে কিন্তু ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।চুলের গোড়ায় ধুলো, ময়লা জমে জট পড়ে । পরে চুল আঁচড়াতে গেলে একসঙ্গে অনেক চুল উঠে আসতে পারে। তাই একটু সতর্ক থাকাই ভালো।
ঘুম থেকে উঠে প্রথমে চুল আঁচড়ে নিতে হবে। চুল আঁচড়ানোর সময় খুব চাপ দেবেন না। চুলের মধ্য়ে জোরে জোরে চিরুনি চালাবেন না। এতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। চুল ভেঙে যেতে পারে বা গোড়া থেকে উঠে আসতে পারে। তাই ধীরে ধীরে প্রথমে আঙুল দিয়ে চুলের জট ছাড়িয়ে নিন।যদি বড় চুল হয় তবে আঙুল চালিয়ে ধৈর্য্য ধরে চুলের জট ছাড়িয়ে নিতে হবে। তারপর আস্তে আস্তে চিরুনি চালাতে হবে। প্রথমেই জোরে জোরে ব্রাশ চালিয়ে জট ছাড়ানো ঠিক নয়।
চুল আঁচড়ানোর সময় যা করবেন না
প্রথমে বড় দাড়ার চিরুনি দিয়ে চুলের জট ছাড়িয়ে নিতে হবে। তারপর সরু দাড়ার চিরুনি চুলে ধীরে ধীরে চালিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত চিরুনি চালান। চুলের ভিতরের দিকেও ভালো করে আঁচড়ে নিন। তালুতে সামান্য চাপ দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। এতে মাথার তালুতে কোনও ধুলো ময়লা থাকলে তা সহজেই উঠে আসতে পারে। চুল আঁচড়ানো সম্পূর্ণ হলে পরবর্তী কাজটি করতে হবে।
তালুতে ম্যাসাজ করুন
চুল আঁচড়ানোর পরে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করতে হবে। আর এই অভ্যাস প্রতিদিন করতে হবে। এটি চুলের জন্য খুবই ভালো। কারণ এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে। চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ভালো হলে অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক হয়। চুল ভালো থাকে। চুল পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পায়। এতে চুলের গোড়া মজবুত হয়। চুল পড়ার সমস্যাও কমে যায়।
খেয়াল রাখতে হবে এদিকেও
প্রতিদিন চুল ধোবেন না। তাহলে চুলের গোড়া নরম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন শ্যাম্পু করুন। মাইল্ড শ্যাম্পু করতে হবে। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না। অবশ্যই সিরাম লাগিয়ে নেবেন। অতিরিক্ত পরিমাণে হেয়ার স্টাইলিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন না। ভিজে চুল বাঁধবেন না।