এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং এসডিজি অর্জনে বেসরকারি খাতের ভূমিকা নিয়ে আলোচনার জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাতের প্রায় ৪০ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে নিয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করে।সেমিনারে জাতিসংঘের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ‘অংশীদারত্বের মাধ্যমে অভিন্ন লক্ষ্য অর্জন’–এর জন্য ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার জন্য অফিশিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স (ওডিএ) প্রদান কখনই যথেষ্ট হবে না। উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের সহযোগিতা অপরিহার্য।বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সুইসকন্ট্যাক্টের গ্লোবাল সিইও এবং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিলিপ শ্নেউলি বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের সম্ভাবনা, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বেসরকারি খাত আরও কী ভূমিকা পালন করতে পারে, সে সম্পর্কে তার মতামত প্রকাশ করেন।
সুইসকন্ট্যাক্ট সুইজারল্যান্ডের বাণিজ্য ও বিজ্ঞান জগতের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের একটি স্বাধীন ফাউন্ডেশন হিসেবে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সংস্থাটি প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী শতাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। গত বছর বিশ্বে প্রায় ১ হাজার ১৫০টির বেশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কোম্পানির সঙ্গে কাজ করেছে। বাংলাদেশে সুইসকন্ট্যাক্ট ২০০০ সালের প্রথম দিক থেকে উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।অনুষ্ঠানে ব্যাংকিং, বীমা, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, জ্বালানি খাত, অ্যাগ্রো বিজনেস, ফার্মাসিউটিক্যালস, আইসিটি, ব্যবসায়িক সমিতিসহ বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।