ভুক্তভোগীর স্বামী বিদেশ যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। এরই মাঝে বেল্লালের সঙ্গে টাকা লেনদেনের সম্পর্ক ছিল। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন তুলেছিল। সেই টাকা বালু ব্যবসায়ী বেল্লালকে ধার দেন।
এ বিষয়টি অস্বীকার করে বেল্লালের স্ত্রী ও মা জানান, বেল্লালের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। আর তাকে মারধরও করেনি, টাকাও ধার নেয়নি।অভিযোগের বিষয়ে জানতে বেল্লালকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি, ফোন করলেও রিসিভ করেননি।তিনি পেশায় একজন বালু ব্যবসায়ী। এ ঘটনা কাউকে জানালে ওই নারী ও তার সন্তানকে হত্যার হুমকিও দেয় বেল্লাল।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া গ্রামে।
ধর্ষণ, নির্যাতনের বিচার ও পাওনা টাকা ফেরত চেয়ে বুধবার রাতে বেল্লালের বাড়িতে ওঠে ওই নারী। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বেল্লালের স্ত্রী ও মা। বর্তমানে বেল্লাল পলাতক রয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী জানান, বেল্লাল বালু ব্যবসার নামে তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা ধার নেয়। টাকা নেওয়ার পর থেকে তাকে নানা সময়ে কুপ্রস্তাব দিত। প্রস্তাবে রাজি না হলে পাওনা টাকা ফেরত দেবে না বলে সে জানায়। একপর্যায়ে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে বেল্লাল তার আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণ ও টাকা ধার নেওয়ার বিষয়টি কাউকে না জানাতে শপথ করান এবং কাউকে জানালে সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বেল্লাল।ভুক্তভোগী ওই নারী আরও জানান, পাওনা টাকা চাইলে তালবাহানা করতে থাকে বেল্লাল। এ নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলেও মীমাংসা করেনি। পরে বাধ্য হয়ে ধর্ষণের বিচার ও পাওনা টাকা ফেরতের জন্য বেল্লালের বাড়িতে গেলে ওর মা ও স্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে মারধর করে।
এ ঘটনায় গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারী কয়েক দিন আগে আমার কাছে এসেছিল। সে জানিয়েছে বেল্লাল তার ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে এবং টাকার লভ্যাংশ দিয়ে আসছিল। পরবর্তীতে বেল্লালের কাছে জানতে চাইলে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করায়, ওই নারীকে সাক্ষী-প্রমাণ নিয়ে আসতে বলেছি। আজকে জানতে পারলাম বেল্লাল তাকে ধর্ষণ করেছে।