হাইকোর্টের নতুন ২৩ বিচারপতির মধ্যে অন্তত দুজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুক্ত হতে পারেন। এ নিয়ে যে কোনো সময় প্রজ্ঞাপন হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর। আর আগামী সপ্তাহে শুরু হতে পারে আন্দোলনে গণহত্যাসহ ৬০টি অভিযোগের বিচারপ্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ার আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতে, টিনশেড স্থাপনা থেকে ট্রাইব্যুনালের মূল ভবনে এজলাস সরাতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং আওয়ামী লীগের আমলে গুমের ঘটনায়, ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের হয়েছে প্রায় ৬০টি। কিন্তু বিচারক নিয়োগ না হওয়ায়, থমকে আছে বিচার প্রক্রিয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ।
তবে আর সময় নষ্ট করতে চায় না সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, যে কোনো সময় বিচারক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন হবে। হাইকোর্টে নতুন নিয়োগ হওয়া বিচারকদের মধ্যেই কয়েকজন যেতে পারেন ট্রাইব্যুনালে।
চিফ প্রসিকিউটর আরও জানান, বিচারের আন্তর্জাতিক মান রক্ষা এবং আসামি ও বিচারকদের সুযোগ-সুবিধার জন্য, ট্রাইব্যুনালের মূল ভবনের সংস্কার চলছে দ্রুত গতিতে। ভবনটিকে বিচার শুরুর উপযোগী করে তুলতে পূর্ত বিভাগকে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অভিযোগের বিচার, এই ভবনেই করেছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার।