মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৭ অপরাহ্ন

তীব্র দাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে ইউরোপের জনজীবন

প্রতিনিধির / ৩৫৯ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৩
তীব্র দাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে ইউরোপের জনজীবন
তীব্র দাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে ইউরোপের জনজীবন

সম্প্রতি তীব্র দাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে ইউরোপের জনজীবন। সামনের দিন গুলোতে ইউরোপে রেকর্ড মাত্রার গরম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে দেশটির আবাহাওয়া অফিস। এরই মধ্যে ইউরোপ জুড়ে তিনজনের মৃত্যুর এবং বেশ কয়েজনের হিট স্ট্রোকের খবর পাওয়া গেছে। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণ ইউরোপ আফ্রিকার কিছু অংশ জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। স্পেন, গ্রীস, ফ্রান্স, ক্রোয়েশিয়া ও তুরস্কের কিছু অংশে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।তারা আরও জানিয়েছেন, ইতালির তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে এবং এখন পর্যন্ত দেশটিতে গরমে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া রোম ও ফ্লোরেন্স সহ ইউরোপের আরও ১০টি শহরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ইতালির উত্তরাঞ্চলে প্রচণ্ড গরমে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ইতালীয় রাজনীতিবিদ নিকোলা ফ্রেটোয়ান্নি এ ব্যাপারে টুইট করে বলেন, আমরা অসহনীয় তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হচ্ছি। যেহেতু এটি সম্ভবত বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম সময়, তাই মৃত্যু এবং অসুস্থতার মত দুর্ঘটনা এড়াতে আমাদের সমস্ত প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রোমের কলোসিয়ামের বাইরে এক ব্রিটিশ নাগরিকসহ দেশটির বেশ কয়েকজন পর্যটক এরই মধ্যে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন।ইতালিয়ান মেটিওরোলজিক্যাল সোসাইটি এই তাপপ্রবাহের নাম করণ করে নরকের তিন মাথাবিশিষ্ট দানবের নামানুসারে, ‘সার্বারাস হিটওয়েভ’। যা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কঠিন তম পরিস্থিতি নিয়ে আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস থেকে জানিয়েছে, শুক্রবার (১৪ জুলাই) তাপমাত্রা সর্বোচ্চ হবে এবং দক্ষিণ ইউরোপের বড় একটি অংশে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো তাপমাত্রা দেখা যেতে পারে, এমনকি আরও বেশি।এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে ইউরোপের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ইতালির সিসিলি দ্বীপে রেকর্ড করা হয় যা ছিল ৪৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর প্রভাবে গত বছর ইউরোপে ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রচণ্ড এই তাপপ্রবাহ এই গ্রীষ্মেও আরো অনেক মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ