ব্য়াংকক, ০৯ অক্টোবর – থাইল্যান্ডে ডে-কেয়ার সেন্টারে সাবেক একজন পুলিশ কর্মকর্তার হামলায় ৩৭ জনের প্রাণ গেছে। নিহতদের মধ্যে ২৩ জনই শিশু। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রে থাকা ২৪ শিশুর মধ্যে কেবল একজন বেঁচে আছে।
বিবিসি জানিয়েছে, তিন বছর বয়সী অ্যামি হামলার বিষয়ে কিছুই জানে না।
ওই দিনের কোনো ঘটনার ব্যাপারে তার ধারণাও নেই।
গত বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নং বুয়া লাম্ফু প্রদেশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হামলাকারীর সৎছেলে ও স্ত্রীও নিহত হয়েছেন। এর আগে এএফপি, রয়টার্সের খবরে হামলায় ২২ শিশুসহ ৩৮ জন নিহত হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
হামলার দিন ছোট্ট অ্যামি ডে কেয়ার সেন্টারে তার প্রিয় বন্ধুর পাশে ঘুমিয়েছিল। ওই সময় ডে কেয়ারের পক্ষ থেকে শিশদের অভিভাবকদের কাছে কিছু ছবিও পাঠানো হয়েছিল বাচ্চাদের মিষ্টি মুহূর্তের।
এই ফাঁকে হামলাকারী সেখানে ঘুমন্ত শিশুদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে ২৩ শিশুর প্রাণ চলে যায়। কেবল অ্যামি প্রাণে বেঁচে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারী প্রথমে ডে কেয়ারে কর্মীদের ওপর গুলি চালায়। শিশুদের তিনটি কক্ষে প্রবেশের সময় তাকে বাধা দিলে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক শিক্ষককেও গুলি করে লোকটি। এরপর দরজা ভেঙে কক্ষে ঢুকে ঘুমিয়ে থাকা অ্যামির বন্ধুদের হত্যা করে।
অ্যামি কীভাবে বেঁচে গেছে সে ব্যাপারে তেমন তথ্য নেই। তবে তাকে যখন উদ্ধার করা হয়, তখন সে জেগে ছিল। সহপাঠীদের নিথর দেহের পাশে একদম কুঁকড়ে ছিল সে।
অ্যামির দাদা জানান, বন্ধুদের দেহের পাশে বসে অ্যামি ভেবেছে, তারা এখনো ঘুমিয়ে আছে। পরে পুলিশের এক কর্মকর্তা তার মুখ ঢেকে রক্তাক্ত এলাকা থেকে বাইরে বের করে নিয়ে আসেন।
অ্যামির মা জানান, অ্যামি প্রতিদিনই ডে কেয়ার সেন্টারে যেতে চাচ্ছে। বন্ধুদের কাছে যাওয়ার বায়না ধরছে। শেষ পর্যন্ত তার দাদি তাকে জানিয়েছে, কেন্দ্রে থাকা তার শিক্ষক ও বন্ধুরা সবাই মারা গেছে। তাই এখন ডে কেয়ার সেন্টার বন্ধ আছে। তার বয়স এত অল্প যে মৃত্যুর বিষয়টি সে বুঝতেও পারছে না।