নাটোরের সিংড়া উপজেলার ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির গলাকাটা মরদেহ সিরাজগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।আজ বুধবার ভোরে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার হাইওয়ের পাটধারী এলাকা থেকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফরিদুল ইসলাম নাটোরের সিংড়া উপজেলার বামিহাল ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি শুকাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। সম্প্রতি সিংড়ার বামিহালে ডাবল মার্ডারের আসামি ছিলেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিংড়ার বামিহাল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিহত ফরিদুল ও সাবেক ইউপি সদস্য আফতাব উদ্দিনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। চলমান বিরোধের জেরে ৯ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আফতাবের নেতৃত্বে কয়েকজন ফরিদুল ইসলামের অনুসারী রুহুল আমিন ও আবু মুসার বাড়িতে হামলা চালায়।
ওই হামলার কিছু সময় পর বামিহাল বাজারে গিয়ে পাল্টা আফতাব ও তার লোকজনের ওপর হামলা চালান রুহুল ও মুসা। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আফতাব ও রুহলসহ চারজনকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়।পরে আফতাবকে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে পরদিন রাজশাহী মেডিকেলে মৃত্যু হয় রুহুল আমিনের। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হলে বর্তমান ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম পালিয়ে যান। সবশেষ পলাতক অবস্থায় ভোরে সলঙ্গা থানা পুলিশ তার জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করে।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন থেকে সিংড়া উপজেলার বামিহাল গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘাত চলে আসছিল।
সেখানে এক গ্রুপের নেতৃত্ব দিতেন ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম। প্রায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ১২ জন নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ার পর বামিহাল গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ে। ওই ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন ফরিদুল ইসলাম।
সম্প্রতি সিংড়ার বামিহালে ডাবল মার্ডারের আসামি ছিলেন তিনি। বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার হাইওয়ের পাটধারী এলাকা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।