সান্তোস, বার্সেলোনা ও পিএসজি মিলিয়ে লিগ ফুটবলে নেইমারের ২০০তম গোল এটি।
প্রথমার্ধে মার্সেইও মাঝেমধ্যে কিছু আক্রমণ শাণায়। তবে গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মার তেমন পরীক্ষা নিতে পারেনি সফরকারীরা।দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পায় তারা। মিডফিল্ডার আমিন হারিতের শট রুখে দেন দোন্নারুম্মা। ৫৮তম মিনিটে বাম হাঁটুতে কিছুটা সমস্যা অনুভব করলেও চিকিৎসা নিয়ে খেলা চালিয়ে যান এই ইতালিয়ান গোলরক্ষক।
৭২তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় মার্সেই। নেইমারকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন দলটির ডিফেন্ডার সামুয়েল।৭৮তম মিনিটে এমবাপে বক্সে খুঁজে নেন মেসিকে। সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের চিপ শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। পরের মিনিটেই সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকাকে তুলে নিয়ে পাবলো সারাবিয়াকে নামান পিএসজির কোচ।বাকি সময়ে উল্লেখযোগ্য সুযোগ আর তৈরি করতে পারেনি পিএসজি। নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট বাকি থাকতে নেইমারকেও তুলে নেন কোচ।
১১ ম্যাচে ৯ জয় ও ২ ড্রয়ে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। তাদের সমান ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে লরিয়ঁ দুইয়ে, ২৪ পয়েন্ট নিয়ে লঁস তিনে আছে। চার নম্বরে মার্সেইয়ের ২৩ পয়েন্ট
১৯তম মিনিটে দারুণ সুযোগ পেয়ে যান এমবাপে। নেইমারের পাস ধরে ফরাসি তারকার সামনে একমাত্র বাধা ছিল গোলরক্ষক। তবে তার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান লোপেস। ২৭তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে এমবাপের আরেকটি শটে বল এক হাতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান তিনি।
৩৫তম মিনিটে ফ্রি-কিকে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন মেসি। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের জোরাল শটে বল ক্রসবারের নিচের দিকে লাগে। তিনি নিজেই ফাউলের শিকার হলে ফ্রি-কিকটি পেয়েছিল পিএসজি।৪৪তম মিনিটে মেসির পাস বক্সে পেয়ে উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন এমবাপে। অবশেষে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সাফল্য পায় স্বাগতিকরা।মাঝমাঠে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে ট্যাকল করে বল আদায় করে নেন মার্কো ভেরাত্তি। সেখান থেকে মিডফিল্ডার ভিতিনিয়ার পাস ডি-বক্সে খুঁজে পায় এমবাপেকে। তার পাসে নেইমারের শটে বল পোস্টে লেগে জালে জড়ায়।
আসরে ১১ ম্যাচে ৯ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় লিলের জোনাথন ডেভিডের পাসে বসলেন নেইমার। মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ক্লাবের হয়ে ১৬ ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান তারকার গোল হলো ১২টি। সঙ্গে ৯টি অ্যাসিস্ট।
প্রথমার্ধেই গোলটি করেন নেইমার। দ্বিতীয়ার্ধে মার্সেই অনেকটা সময় একজন কম নিয়ে খেললেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা।
শুরু থেকে মার্সেইকে চেপে ধরে পিএসজি। প্রথম পাঁচ মিনিটেই তিনটি সুযোগ আসে তাদের সামনে। বক্সের ভেতর থেকে মেসির বাঁ পায়ের দুটি শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক পাউ লোপেস। এরপর আশরাফ হাকিমির প্রচেষ্টাও দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন তিনি।
১৯তম মিনিটে দারুণ সুযোগ পেয়ে যান এমবাপে। নেইমারের পাস ধরে ফরাসি তারকার সামনে একমাত্র বাধা ছিল গোলরক্ষক। তবে তার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান লোপেস। ২৭তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে এমবাপের আরেকটি শটে বল এক হাতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান তিনি।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিন ম্যাচ পর জয়ের স্বাদ পেল পিএসজি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বেনফিকার সঙ্গে দুইবার ১-১ ড্র করার মাঝে লিগ ওয়ানে গত রাউন্ডে রাঁসের মাঠে গোলশূন্য ড্র করেছিল তারা।রাঁসের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখায় এই ম্যাচে ছিলেন না স্প্যানিশ ডিফেন্ডার সের্হিও রামোস।