এরই মধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে গ্রামের অর্ধশত একর ফসলিজমি ও বাড়িঘর। আশ্রয়ণ প্রকল্প ও কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বেশকিছু স্থাপনাও ঝুঁকিতে রয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে অনেকেরই নির্ঘুম রাত কাটছে। পরবর্তী ঠিকানা কোথায় হবে, সে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় বারবার ভাঙনের কবলে পড়তে হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, কয়েক বছর ধরে নদীর ওই অংশে ভাঙন সৃষ্টি হলেও স্থায়ী ব্যবস্থা না নেয়ায় বারবার ভাঙনের কবলে পড়ছেন তারা। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছেন অনেকে।
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান জানান, ভাঙন থেকে কয়েকশ মিটার দূরের ইউসুফ মাতুব্বরের ডাঙ্গীর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, একটি মসজিদ ও বাড়িঘরসহ শত একর ফসলিজমি আগ্রাসী পদ্মার ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এদিকে নদীভাঙন থেকে সহায়সম্পদ রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি স্থানীয়দের।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি, ভাঙনরোধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী অতুল প্রামাণিক বলেন, নদীভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং ভাঙন রোধে ডাপিং শুরু করা হয়েছে। গত তিন মাসে পদ্মার ভাঙনে ফরিদপুরে ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে অর্ধশত পরিবার।