শিরোনাম:
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন

পাঁচ দফা দাবিতে কর্মবিরতি লাইটারেজ জাহাজের শ্রমিকদের

প্রতিনিধির / ২২৫ বার
আপডেট : শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০২২
পাঁচ দফা দাবিতে কর্মবিরতি লাইটারেজ জাহাজের শ্রমিকদের
পাঁচ দফা দাবিতে কর্মবিরতি লাইটারেজ জাহাজের শ্রমিকদেরপাঁচ দফা দাবিতে কর্মবিরতি লাইটারেজ জাহাজের শ্রমিকদের

পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার ভোর থেকে চট্টগ্রামে কর্মবিরতি শুরু করেছে লাইটারেজ জাহাজের শ্রমিকরা। বন্দরের বহির্নোঙ্গর ও কর্ণফুলীর ১৮টি ঘাটে পণ্য ওঠা-নামা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।বৃহস্পতিবার বিকালে ‘সর্বস্তরের নৌযান শ্রমিকবৃন্দ’ ব্যানারে চট্টগ্রাম নগরীতে এক সমাবেশে এ ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়।জাহাজ শ্রমিকদের এ কর্মবিরতিতে সারা দেশের সঙ্গে সিমেন্ট, সিরামিক, ইস্পাতশিল্পের কাঁচামাল, সার, কয়লা ও ভোগ্য পণ্যের পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে।

পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানকে প্রত্যাহার, লাইটার জাহাজের শ্রমিকদের ওঠা-নামায় ব্যবহৃত চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল, পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার অপসারণ, সাঙ্গু নদের মুখ খনন করে লাইটার জাহাজের নিরাপদ পোতাশ্রয় করা।বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, চরপাড়া ঘাট ইজারা দেওয়ার পর থেকে ইজারাদারের লোকজনের শ্রমিকদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করে আসছে। গত ৩ নভেম্বর ইজারাদারের লোকজন ৮–৯ জন শ্রমিককে মারধর করে।এ ছাড়া বন্দরের কাছে এই ঘাটের ইজারা বাতিলের দাবি জানালেও, কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর প্রতিবাদে চরপাড়া ঘাটের সামনে থেকে সব লাইটার জাহাজ পারকির চর এলাকায় নিয়ে যায় নৌযান শ্রমিকরা।

তিনি জানান, পারকির চর এলাকায় অবস্থানরত নৌযান থেকে শ্রমিকরা বিমানবন্দর সড়কের শেষ মাথায় চাইনিজ ঘাট ব্যবহার করে ওঠানামা করতে শুরু করে। এ ঘাটটিও আজ উচ্ছেদ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বিকালে বাংলাবাজার এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে লাইটার জাহাজে পণ্য ওঠানো-নামানো ও পরিবহন বন্ধের ডাক দিয়েছে।চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, শ্রমিকেরা ঘাট দিয়ে যাতে নিরাপদে নৌকায় উঠতে পারেন এবং অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে নৌযান পরিচালনা করতে না পারে, সেজন্য দরপত্রের মাধ্যমে চরপাড়া ঘাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চায়নিজ ঘাটে বন্দরের অনুমোদন ছাড়াই যাত্রী পারাপার করা হচ্ছিল। তাই অবৈধ ঘাটটি উচ্ছেদ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নদীপথে প্রতিবছর ছয় কোটি টনের বেশি পণ্য পরিবহন হয়। এই পণ্যের মধ্যে রয়েছে সিমেন্ট, সিরামিকস ও ইস্পাতশিল্পের কাঁচামাল, সার, কয়লা ও ভোগ্যপণ্য। লাইটার জাহাজে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকলে চট্টগ্রাম থেকে সারা দেশে নদীপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে বিপাকে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ