২০২০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বরে পাখি পালক সুলতান আহমেদ মিজুর উদ্যোগে তৈরি হওয়া এই গ্রুপে নবীন-প্রবীণ অভিজ্ঞ পাখি পালকদের সমন্বয়ে গঠিত অ্যাডমিন প্যানেলের মোট সদস্য সংখ্যা ১৫ জন। যারা সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে একশটি পাখির শারীরিক ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান দেন। একেকজন একেক শহরে, এমনকি একেক দেশে বসেও।
ফেসবুকে বাংলাদেশি একটি প্রাইভেট গ্রুপ, তাও শুধু পাখি পালকদের। তাতে সদস্য সংখ্যা ৪৭ হাজারের বেশি! অবিশ্বাস্য হলেও এমনই এক অভিনব ভার্চ্যুয়াল কমিউনিটির সন্ধান পাওয়া গেছে। যাদের মূল কাজ খাঁচায় লালন-পালন বৈধ এমন সব পাখিদের সবচেয়ে ভালো রক্ষণাবেক্ষণ এবং সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা। এ কারণে গ্রুপের নাম দেয়া হয়েছে বার্ড হসপিটাল অব বাংলাদেশ (বিএইচবি)।
সেবাগ্রহীতারাও শুধু দেশের গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নন। এই ভার্চ্যুয়াল হসপিটাল থেকে অহরহ সেবা নিচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিসহ পশ্চিমবঙ্গের বহু পাখি পালক।একজন অভিজ্ঞ প্রাণী চিকিৎসক এবং একজন স্বনামধন্য মানুষের চিকিৎসক অ্যাডমিন প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত থাকলেও পাখি পালকদের পাখির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা, নিজেদের অভিজ্ঞতা ও পরস্পরের প্রতি পরস্পরের আন্তরিকতাই এই কমিউনিটির দীর্ঘ পথ পরিক্রমার মূল পাথেয়।সম্প্রতি ঢাকার একটি রেস্তরাঁয় অনাড়ম্বরে উদযাপিত হলো সেই বার্ড হসপিটালের দুই বছর পূর্তি ও তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই অ্যাডমিন প্যানেলের সদস্যরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও সম্মান জানান গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডমিন সুলতান আহমেদ মিজুকে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ ও অভিজ্ঞ পাখি পালক ডা. এম এ মান্নান, আইনজীবী ও চলচ্চিত্রকার খান জেহাদ, সফল বার্ড ব্রিডার ইয়াসমিন লিপি, মাহমুদ মাহাদী, তাহমিদুল কবির তন্ময় এবং অনলাইনে যুক্ত ছিলেন ময়মনসিংহ থেকে ডা. সালাহউদ্দিন শাকিল, রাজবাড়ি থেকে আবু সাঈদ, কুড়িগ্রাম থেকে মৌমিতা আহমেদ, খাগড়াছড়ি থেকে শাহেদ আলম, ফেনি থেকে মো. আরমান হোসেন শাওন এবং সুদূর কাতার থেকে মো. আরিফ সহ গ্রুপের অ্যাডমিন এবং মডারেটরবৃন্দ।
নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা ও নৈশভোজের পর কেক কাটা ও খাঁচার পাখির সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে বন্যপ্রাণী ও দেশীয় পাখিদের সংরক্ষণের মাধ্যমে প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় নিজেদের শক্ত ভূমিকা রেখে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।