এবার কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদের দান বাক্স খুলে পাওয়া গেল ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা। এটি এ পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে বেশি টাকা।
এর আগে শনিবার সকালে তিন মাস পর পাগলা মসজিদের ৮টি লোহার দানবাক্স খোলা হয়।
জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে স্থানীয় একটি ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, মসজিদ কমিটির ৩৫ জন, মসজিদ ক্যাম্পাস মাদরাসার দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীসহ দুই শয়েরও বেশি মানুষ অংশ নেন টাকা গণনার কাজে।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, সারা দিন ধরে টাকাগুলো গণনার কাজ চলে সারাদিন। সাড়ে ১০ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় টাকা গণনা শেষ হয়। এরপরই জানা যায় টাকার পরিমাণ।
গত ২ জুলাই সবশেষ মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৪১৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল। এবার ৩ মাস ১ দিন পর দান সিন্দুকগুলো খোলা হলো।
জনশ্রুতি আছে, প্রায় ৫০ বছর আগে পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক সাধু নরসুন্দা নদীর মাঝখানে চরে আশ্রয় নেন। তার মৃত্যুর পর সমাধির পাশে এই মসজিদটি গড়ে ওঠে। পরে পাগলা মসজিদ নামে পরিচিতি পায় এই মসজিদটি।
পাগলা মসজিদে দান করলে মনের ইচ্ছে পূরণ হয়, এমন বিশ্বাসে মুসলমান ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের লোকজন এখানে দান করে থাকেন। নগদ টাকা ছাড়াও পাওয়া যায় চাল, ডাল, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগিসহ ভিবিন্ন কিছু।
দানের টাকা থেকে নিজস্ব খরচ মিটিয়েও জেলার বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা এতিমখানাসহ গরিব ছাত্রদের মাঝে ব্যয় করা হয়। টাকা দেওয়া হয় নানা আর্থ-সামাজিক কাজে। বাকি টাকা জমা রাখা হয় রুপালী ব্যাংকে।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ জানান, মসজিদের দানের টাকা দিয়ে শত কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।