বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী পরিবেশ সচেতনতা বেড়েছে। এতে পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক হারে। এ সুবিধায় পাটপণ্য রপ্তানি বাড়াতে বৈচিত্র্যময় পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন ও উৎপাদনে বাড়তি মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।
সিবিআইর সঙ্গে চুক্তি সইয়ের ফলে জেডিপিসির হোম টেক্সটাইল অ্যান্ড হোম ডেকোরেশন উৎপাদনকারী উদ্যোক্তাদের পক্ষে ইউরোপের বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নতুন ডিজাইনের পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করা সহজ হবে। ইতোমধ্যে জেডিপিসির মাধ্যমে ২৮২ ধরনের পাটপণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদ্যোক্তাদের যোগাযোগে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
বাজার চাহিদা অনুযায়ী নতুন ডিজাইনের পাটপণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিতে সহায়তা দেবে ইউরোপের সেন্টার ফর প্রমোশন ইমপোর্ট ফ্রম ডেভেলপিং কান্ট্রিস (সিবিআই)। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) সঙ্গে এ বিষয়ে সিবিআইর সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে জেডিপিসি কার্যালয়ে চুক্তিতে সিবিআইয়ের পক্ষে সই করেন ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন। জেডিপিসির পক্ষে সই করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. মাহমুদ হোসেন। জেডিপিসি ও নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ চুক্তির ফলে ইউরোপে বাংলাদেশের পাটপণ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে।