মাদারীপুরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর থানায় মামলা করেছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম বাবুল সরদার। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাবুল সরদার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বাবুল সরদার ছিলারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি মুঠোফোনে বলেন, কিছুদিন আগে ওই কিশোরীর বাবা বিদেশ যাওয়ার কথা বলে তাঁর কাছে পাঁচ লাখ টাকা ধার চেয়েছিলেন। তিনি ওই টাকা না দেওয়ায় তাঁকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এ ঘটনার তিনি সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল থেকে ওই কিশোরীর মা–বাবা দুজনেই কাজের জন্য বাড়িতে ছিলেন না। দুপুরের দিকে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে বাবুল সরদার কৌশলে ওই কিশোরীর ঘরে ঢুকে পড়েন। এ সময় বাবুল সরদার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। সন্ধ্যায় ওই কিশোরীর মা-বাবা বাড়িতে এলে বিষয়টি বুঝতে পেরে রাতেই তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাবেক চেয়ারম্যান হলেও বাবুল সরদার গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাঁর ভয়ে কেউ আমার পাশে নেই। সবাই ভয় পাচ্ছে। এ অবস্থায় মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে চলে আসছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা শিহাব চৌধুরী বলেন, গতকাল রাতে এক প্রতিবন্ধী কিশোরী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ওই কিশোরীর পরিবারের দাবি, সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া শেষে গাইনি চিকিৎসক তার আলামত সংগ্রহ করেছেন। এখন ওই কিশোরী সুস্থ আছে।
এ ঘটনার পর থেকে বাবলু সরদারকে ওই এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে বাবুল সরদার মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য দূরে আছি। সময়মতো সবার সামনে আসব।’
জানতে চাইলে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী আজ সকাল সাড়ে ৯টায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতেই ধর্ষণের অভিযোগটি আমরা পেয়েছি। আজ সকালে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয় তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত আসামি সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল সরদার এলাকায় নেই। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’