করোনাভাইরাসের পর বর্তমানে নতুন আতঙ্কের নাম ডেঙ্গু। ঢাকা শহরসহ সারা দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, ঘটছে মৃত্যু।জ্বরে আক্রান্ত হলে কিংবা ডেঙ্গু পজিটিভ হলে রোগীর দায়িত্বরতরা সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় থাকেন প্লাটিলেট নিয়ে। মানুষের রক্তে তিন ধরনের রক্ত কণিকার সবচেয়ে ছোট কণিকা হলো প্লাটিলেট বা অনুচক্রিকা। প্লাটিলেট রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে শুধু প্লাটিলেট কমে যাওয়া নয়, এ ছাড়াও আরও মারাত্মক হতে পারে রক্তচাপ, বমি, মাথাব্যথা ইত্যাদি।
ডেঙ্গু জ্বরের মারাত্মক লক্ষণগুলো নিয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল জলিল চৌধুরী।এই বিশেষজ্ঞ বলেন, আমরা সবাই মনেকরি, ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে প্লাটিলেট গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাঁ সেটা মিথ্যা নয়, প্লাটিলেটের চেয়ে রক্তচাপ আরও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রধানত দেখি রোগীর পালস ঠিক থাকে কিনা এবং রক্তচাপ ঠিক আছে কিনা। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শুধু প্লাটিলেটকে গুরুত্ব দিলেই হবে না, এর সঙ্গে রোগীর পালস কেমন, তার রক্তচাপ কেমন এসব খেয়াল রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রক্তচাপ। পালস সাধারণ ৬০-৯০ পর্যন্ত হলে ঠিক আছে। যদি পালস বেড়ে যায় তবে রোগীর সমস্যা হবে। পালসের সঙ্গে রক্তচাপের সম্পর্ক আছে। ব্লাড প্রেসার ফল করলে পালস বাড়ে।
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ডেঙ্গু রোগীর ক্ষেত্রে বমি মারাত্মক উপসর্গ হতে পারে। এটিও গুরুত্বপূর্ণ। বমি হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। সবাই শুধু প্লাটিলেট নিয়ে পড়ে আছে। প্লাটিলেট কমার সঙ্গে পালস কমা, রক্তচাপ বাড়া কিংবা কমার সম্পর্ক আছে- সেসব খেয়াল করা হয় না। এজন্যই প্লাটিলেট, পালস, রক্তচাপ এই তিন বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।রোগীর মাথাব্যথার বিষয়টি উল্লেখ্য করে এই বিশেষজ্ঞ জানান, জ্বরের সঙ্গে মাথাব্যথা বেশি হওয়া কিন্তু খুব খারাপ লক্ষণ। অনেক ডেঙ্গু কিন্তু এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, রোগী যদি বলে বমি ভাব আছে, বা বমি হয় এবং প্রচন্ড মাথাব্যথা আছে তখনই হাসপাতালে ভর্তির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।