গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে বাবুল আক্তার, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়।মামলার অন্য আসামিরা হলেন— বাবুল আক্তারের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া এবং ভাই হাবিবুর রহমান লাবু।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার বাবুল আক্তারের উপস্থিতিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশেক ইমাম এই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন। এসময় তার রিমান্ড শুনানির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আদালত ব্যবস্থা নেবে বলেও আদেশ দেন আদালত।বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রবিউল ইসলাম বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। দুপুরে রিমান্ড শুনানি হবে বলে জানা গেছে।
যে তিন কারণে বাবুল আক্তারকে রিমান্ডে চাওয়া হয়েছে-
>> বাবুল আক্তার কারাগারে থাকাকালে কীভাবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপাত্ত বিদেশে থাকা আসামি ইলিয়াসের কাছে সরবরাহ করেছে এবং কার কার সঙ্গে কথা বলেছেন তা জানার জন্য।
>> বাবুল আক্তার কার প্ররোচনায় মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারকার্য ব্যাহত করার জন্য ভিডিও প্রকাশে সহযোগিতা করেছে, উক্ত প্ররোচনাকারী ব্যক্তির নাম, ঠিকানা সংগ্রহসহ গ্রেফতারের জন্য।
>> বাবুল আক্তার কারাগারে থাকাকালে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে বাদীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মানহানিকর ভয়েস রেকর্ড প্রস্তুত করেছে কি না, ভিডিওতে থাকা ভয়েস রেকর্ডে বাবুল আকতার বাদী বনজ কুমারের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন মর্মে শোনা যায়, সেই ভয়েস রেকর্ডে থাকা কন্ঠস্বর বাবুল আকতারের কি না বা ভয়েস রেকডের অপর প্রান্তে কে ছিল তা জানা প্রয়োজন। মামলাটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে অত্র মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. বাবুল আক্তারকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে প্রদানের আদেশ দানে মর্জি হয়।