প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অবশ্যই আমি চাই নতুন নেতৃত্ব আসুক। নেতৃত্ব সাধারণত কাউন্সিলরা ঠিক করেন, নির্বাচিত করেন। কাউন্সিলদের সিদ্ধান্তটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আমার তো আসলে সময় হয়ে গেছে। এখন বিদায় নেওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত।’
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে সফর পরবর্তি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব দলের কাউন্সিলরদের উপর ছেড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘একজন কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগের একটি কাউন্সিলর যদি বলেন যে আমাকে চায় না আমি কোনোদিনই থাকব না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন কাউন্সিলর যদি বলে যে আমাকে চায়না আমি কোনো দিনই থাকব না। এটা যেদিন থেকে আমার অবর্তমানে আমাকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট করেছিল, তখন থেকেই শর্তটা মেনে যাচ্ছি।’
এটা ঠিক দীর্ঘদিন হয়ে গেছে, অবশ্যই আমি চাই নতুন নেতৃত্ব আসুক। নেতৃত্ব সাধারণত কাউন্সিলরা ঠিক করেন, নির্বাচিত করেন। কাউন্সিলদের সিদ্ধান্তটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আমার তো আসলে সময় হয়ে গেছে। এখন বিদায় নেওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত, যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমার যেটা লক্ষ্য ছিল জাতির পিতা বাংলাদেশ স্বাধীন করে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ, বাংলাদেশকে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন করে অগ্রগতি করে স্বল্প উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জন করে দিয়ে যাওয়া, স্বল্পন্নোত দেশের মর্যাদা কিন্তু জাতিসংঘই স্বীকৃতি দিয়েছিল। এরপর এই দেশে কী ঘটেছে? হত্যা, ক্যুর রাজনীতি, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। ক্ষমতা ছিল বন্দিখানায়, দেশে গণতন্ত্র ছিল না। তার পরবর্তী ছিল মার্শাল ‘ল’ বা মিলিটারি শাসন। সেখানে কারফিউ গণতন্ত্র ছিল। অনেক চড়াই উৎড়াই পার করে গণতন্ত্র উদ্ধার করি।’
এখন অন্তত পক্ষে এক টানা তিন বার সেই ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম একটানা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। এর মাঝে অনেক চড়াই উৎড়াই খুন খারাপি থেকে শুরু করে অগ্নি সন্ত্রাস নানা কিছু ঘটেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারপরেও ক্ষমতায় একটানা ছিলাম বলে উন্নয়নশীল দেশ আমরা উন্নীত হয়েছি। এখন বিদায় নেওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত। আমার সময় হয়ে গেছে।’