মার্টিন রেইজার বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী সরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, প্রতিযোগিতার সক্ষমতা উন্নয়ন, জলবায়ু টেকসই নিশ্চিত করা এবং বৈদেশিক ও আর্থিক ধাক্কা সামলানোর শক্তি জোরদার করার জন্য সময়োচিত নীতি কর্মপন্থা গ্রহণ।’
সফরকালে মার্টিন রেইজার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন। বৈঠকে তারা বৈশ্বিক অর্থনীতির দৃষ্টিভঙ্গি এবং অর্থনৈতিক নীতির তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন।
মার্টিন বলেন, অনিশ্চয়তা এবং ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির মধ্যে দেশের প্রবৃদ্ধির গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের জন্য এখন প্রয়োজন জাতীয় পরিকল্পনায় স্থিরকৃত সংস্কার অগ্রাধিকারগুলো নিয়ে কাজ করা।
ঢাকায় অবস্থানকালে মার্টিন রেইজার প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন। পাশাপাশি বেসরকারি সেক্টরের প্রতিনিধি, সিভিল সোসাইট এবং উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
বিশ্বব্যাংকের একটি দল বাংলাদেশের জন্য ব্যাংকের নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ কাঠামো (সিএফপি) তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশকে ২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের সহায়তার নির্দেশনা থাকবে। তিনি সরকারি এবং অন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্য বাস্তবায়ন কীভাবে কার্যকর করা যায়, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
রেইজার বলেন, অন্যান্য দেশ বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে পারে। বিশ্বব্যাংক টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশের উন্নয়নে প্রথম উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে বিশ্বব্যাংকই প্রথম।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশটিকে মঞ্জুরি সহায়তা, সুদমুক্ত ঋণ, স্বল্প সুদে ঋণ, নিরপেক্ষ উন্নয়ন অ্যাসোসিয়েটসে ৩৭ বিলিয়নেরও বেশি ঋণ সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশে চলমান ৫৫টি প্রকল্পে ১৫.৭ বিলিয়ন ঋণ সহায়তা রয়েছে বিশ্বব্যাংকের। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার বিশ্বব্যাংক।