ময়মনসিংহের ভালুকার জব্বার প্লাজার আন্ডারগ্রাউন্ড ফ্লোরে বদ্ধ ঘরে এলপি গ্যাসের নিভানো চুলা থেকে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসের আগুনে আব্দুল মালেক পাঠান (৬৫), ছেলে কাজল মিয়া (৪০) অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়।
২৪ ঘন্টা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় রোববার (৯ অক্টোবর সকালে আব্দুল মালেক মারা যান।
জানা গেছে, অগ্নিদগ্ধ ছেলে কাজল মিয়া এখনো শঙ্কামুক্ত নয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক সংলগ্ন পৌরসভার কোর্টভবন এলাকায় অবস্থিত জব্বার প্লাজার আন্ডারগ্রাউন্ড ফ্লোরের ভাড়াটিয়া উপজেলার ভান্ডাব গ্রামের আব্দুল মালেক পাঠান রাতের রান্না শেষে হালকা আগুন সহ চুলা না নিভিয়ে ঘুমিয়ে পরে। ফ্যানের বাতাসে এক সময় আগুন নিভে গিয়ে সারারাত বদ্ধঘরে চুলা থেকে গ্যাস নির্গত হয়। শনিবার সকালে ছেলে কাজল মিয়া বাবাকে ডেকে দরজা খুলতে বলায় আঃ মালেক দরজা খুলে সিগারেট ধরাতে গেলে মুহুর্তেই সারা ঘরে আগুন ছড়িয়ে পরে মালেক অগ্নিদগ্ধ হয়। এ সময় বাবাকে বাচাঁতে গিয়ে ছেলে কাজল মিয়াও অগ্নিদগ্ধ হন।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ভালুকা সরকারি হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধিন অবস্থায় রোববার সকালে আব্দুল মালেক পাঠান মারা যান। অগ্নিদগ্ধ হওয়া অপর রোগী নিহত মালেকের ছেলে কাজল মিয়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।