শিরোনাম:
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় তিনটি ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার গাজায় পুনরায় খুলছে রেস্তোরাঁ নিখোঁজের তিনদিন পর দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার মাদারীপুরে ডক্টর ইউনুস এর ভাবমূর্তি নষ্টের ষড়যন্ত্র চলছে যেখানে বড়সড় ভূমিকায় কাজ করছে ভারতীয় মিডিয়া সাজেকে পর্যটকদের রাত কেটেছে ক্লাবঘর আর মসজিদে পঞ্চম দফায় মুক্তি পেয়েছে আরও ১৮৩ ফিলিস্তিনি সুনামগঞ্জে বাস সিএনজি সংঘর্ষে ২ জনের মৃত্যু নরসিংদীতে হামলা ভাঙচুর বাধা দেওয়ায় এক নারীকে গুলি করে হত্যা সাবেক মন্ত্রীর বাসায় ভাঙচুর লুটপাট ঠেকাতে গিয়ে হামলার শিকার বৈষম্যবিরোধীর নেতাকর্মীরা আইসিসির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন ট্রাম্প
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন

মারধরের শিকার স্বামী হানিমুনে গিয়ে, হামলাকারীদের সঙ্গে পালালেন স্ত্রী

প্রতিনিধির / ২৬৮ বার
আপডেট : বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
হানিমুনে গিয়ে মারধরের শিকার স্বামী
হানিমুনে গিয়ে মারধরের শিকার স্বামী

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় হানিমুনে গিয়ে মারধরের স্বীকার হয়েছেন মনিরুল ইসলাম নামের এক যুবক। এ সময় হামলাকারীদের সঙ্গে পালিয়ে যান তাঁর স্ত্রী। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট-সংলগ্ন ফ্রাই মার্কেটের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী মনিরুল ইসলাম জানান, তিনি দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছিলেন। দেশে আসার পরে গত শুক্রবার পারিবারিকভাবে বরগুনার ধলুয়া ইউনিয়নের হারুন অর রশিদের মেয়ে নুরে জান্নাতকে বিয়ে করেন। পরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাঁরা হানিমুনে এসে কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল তাজে ওঠেন। রাতে তাঁর অনিচ্ছা সত্ত্বেও স্ত্রী তাঁকে সৈকতের ফ্রাই মার্কেট পেরিয়ে অন্ধকারে নিয়ে যান। এ সময় চার-পাঁচজন দুর্বৃত্ত তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিকেলে সৈকতে ঘোরাঘুরির পরে সন্ধ্যায় আমি নূরে জান্নাতকে নিয়ে হোটেলে চলে আসি। রাতে স্ত্রীর অনুরোধে আমরা ফের হোটেল থেকে সৈকতের জিরো পয়েন্ট-সংলগ্ন ফ্রাই মার্কেট যাই। নূরে জান্নাত ফ্রাই মার্কেট পেরিয়ে কিছুটা সামনে নিয়ে যায় আমাকে। এ সময় চার থেকে পাঁচজন লোক আমাকে মারধর শুরু করে। আমি আমার স্ত্রীকে আঁকড়ে ধরলেও সে আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে বরং হামলাকারীদের সঙ্গে পালিয়ে যায়।’

সৈকতের ফিশ ফ্রাই ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিন জানান, ‘আমি স্বামী-স্ত্রী দুজনকে সৈকতে নামতে দেখেছি। এর কিছুক্ষণ পরেই দেখি ওই লোকটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ বক্সে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’

এ বিষয়ে মনিরুলের স্ত্রী নুরে জান্নাতের বাবা হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে বরগুনা থেকে কুয়াকাটায় চলে এসেছি। তবে আমার মেয়ে এখন কোথায় আছে তা জানতে পারিনি। জামাইকে নিয়ে এখন বাড়িতে যাচ্ছি। পারিবারিকভাবে বিষয়টি আমরা দেখব।’

এ ঘটনায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মারধরের স্বীকার পর্যটককে উদ্ধার করি। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমাদের কয়েকটি টিম আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর স্ত্রীর সন্ধান পায়নি।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ