দেশজুড়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা তীব্র করেছে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ), এথনিক ডিফেন্স ফোর্স (ইএও) সহ একাধিক জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী। তাদের দাবি, গত চারদিনে হামলা চালিয়ে অন্তত ৩০ সেনাকে হত্যা করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন আর্মি মেজর ও ক্যাপ্টেনও আছেন। মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতি গতকাল বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে।
রিপোর্ট, মান, কারেন, রাখাইন, কিয়া, বাগো, সাগাইং এবং তানিনথারি রাজ্যে লড়াইয়ে এসব সেনা হতাহত হয়। ইরাবতি দেশটিতে উল্লেখযোগ্য এসব হামলার তথ্য সংগ্রহ করেছে, সেইসঙ্গে মিয়ানমার বাহিনীর বেসামরিক লোকদের ওপর নৃশংসতার খবরও নিয়েছে বলে জানিয়েছে। তবে কিছু সেনা হতাহতের তথ্য নিরপক্ষভাবে যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে ইরাবতি।
এছাড়া বাগো অঞ্চলে ইয়েদাশে-পিডিএফের সঙ্গে সংঘর্ষের আরও ৭ সেনা নিহত এবং ৯ জন আহত হয়। পিডিএফ-এর নেওয়া ভিডিও ফুটেছে দেখা যায়, এক গাড়ির কাছে বেসামরিক পোশাকে দুই জান্তার লাশ। তিনটি অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং মোবাইল ফোন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার সামরিক বাহিনী সু চি’র সরকার ক্ষমতাচ্যুত করে। এর পর থেকে দেশটিতে সেনাবাহিনী ও জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েছে।মান রাজ্যে পিডিএফের অভিযানে মিয়ানমার বাহিনীর তিন সেনা নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ডেপুটি ব্যাটালিয়ন কমান্ডারও আছেন। এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার মন রাজ্যের থাথন অঞ্চলে সামরিক গাড়িতে হামলা চালায় পিডিএফ।
অন্যদিকে রাখাইন এবং চিন রাজ্যের শহরগুলোতে আরকান আর্মির (এএ) সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জান্তা সদস্য নিহত হয়। পাশাপাশি রাখাইনে আরও কয়েক কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।