টুইটার জানিয়েছে, তারা তাদের বিশ্বব্যাপী কার্যালয়গুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেবে এবং সমস্ত প্রবেশ-নিয়ন্ত্রণ অধিকার স্থগিত করা হবে, যাতে ‘প্রত্যেক কর্মচারীর পাশাপাশি টুইটার সিস্টেম ও গ্রাহকের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারা যায়।’ টুইটার আরও জানিয়েছে, যাঁদের ছাঁটাই করা হবে না, তাঁদের নিজ নিজ অফিশিয়াল ই-মেইলে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে। এবং যাঁরা চাকরি হারাবেন, তাঁরাও নিজেদের নিজস্ব ই-মেইলে বিষয়টি জানতে পারবেন।
এরই মধ্যে ইলন মাস্ক টুইটারের প্রধান নির্বাহীসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন। আগেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন, যেকোনো সময় কর্মী ছাঁটাই করা হতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, প্রতিষ্ঠানটির খরচ কমানোর জন্য প্রায় ৩ হাজার ৭০০ জনকে ছাঁটাই করতে পারেন ইলন মাস্ক।
টুইটারের মালিকানা হাতে পেয়েই একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলেছেন ইলন মাস্ক। এবার তিনি প্রতিষ্ঠানটি থেকে কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। কেবল তাই নয়, তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা টুইটারের কার্যালয়গুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করেও দিতে পারেন। কর্মীদের প্রবেশাধিকারও সাময়িকভাবে কেড়ে নিতে পারেন তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
কর্মীদের কাছে পাঠানো এক ই-মেইলে লোকবল ছাঁটাইয়ের বিষয়টি জানিয়ে জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বলেছে, ‘টুইটারকে একটি সুস্থ-স্বাভাবিক পথে এগিয়ের নেওয়ার লক্ষ্যে আমরা শুক্রবার বিশ্বব্যাপী আমাদের লোকবল কামানোর কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাব।’ এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার কর্মীদের কাছে পাঠানো এক মেইলে বলেছে, ‘আপনি যদি অফিসে থাকেন কিংবা অফিসের পথে রওনা হয়ে থাকেন, তবে দয়া করে বাড়ি ফিরে যান।’
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্মী ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি টুইটারের কর্ম পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আসবে। আগে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা ‘ওয়ার্ক ফ্রম এনিহোয়্যার পলিসি’ বা সুবিধামতো যেকোনো স্থান থেকে কাজ করতে পারতেন। কিন্তু মাস্ক তা পরিবর্তন করতে চান এবং কর্মীদের অবশ্যই অফিসে এসে কাজ করতে হবে। এ ছাড়া কর্মীদের সপ্তাহে প্রতিদিন অফিসে আসতে হবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তবে কিছু ব্যতিক্রম থাকতে পারে।