নতুন সিদ্ধান্ত না আসায় নিয়ম অনুযায়ী ভোজ্যতেল আমদানিতে আগের মত ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে।
ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট কমানোর সুবিধার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তা আবার আগের জায়গায় ফিরেছে।
ভ্যাট প্রত্যাহারের মেয়াদ শুক্রবার শেষ হওয়ার পর এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নতুন সিদ্ধান্ত না আসায় নিয়ম অনুযায়ী শনিবার থেকে আগের মত ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে ভোজ্যতেল আমদানিতে।
ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণে এর প্রভাব থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সয়াবিন ও পাম তেলের অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেলে সরকার তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত মার্চে আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট ১০ শতাংশ মওকুফ করে। ১৫ শতাংশ থেকে ভ্যাট ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর, যা সবশেষ ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কার্যকর ছিল।
প্রথমে তিন মাসের জন্য দেওয়া ওই শুল্কছাড় পরে ২৮ জুন আরও তিন মাস বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে এনবিআরের একজন প্রথম সচিব বলেন, “এনবিআর নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারি না করায় আবারও আগের ভ্যাট হার কার্যকর শুরু হয়ে গেছে।
“গত সপ্তাহের শেষ দিন পর্যন্ত ওই শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি। তারমানে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ভোজ্যতেলের ওপর আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট আগের মতই আরোপিত হবে।“
এ বিষয়ে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ক্যাব) মুখপাত্র ভোক্তাকণ্ঠের সম্পাদক আব্দুল হান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরিস্থিতির এমন কোনও পরিবর্তন হয় নাই যে সরকার ছাড় বন্ধ করে দিয়ে আগের পর্যায়ে নিতে পারে।“
এসময় তিনি এখনও প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ২০০ টাকার কাছাকাছি উল্লেখ করে বলেন, ভোজ্যতেলের এ দাম দেশের সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার চেয়ে বেশি।
এমন পরিস্থিতিতে তিনি সরকারের হাতে থাকা সুবিধা ব্যবহার করে শুল্কছাড় অব্যাহত রাখতে বলেন।
ভ্যাট কমানোর আগে প্রতিলিটার সয়াবিন তেলের দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়েছিল। সবশেষ গত ২৩ অগাস্ট পরিশোধন মিল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সয়াবিন তেলের দাম সাত থেকে নয় টাকা বাড়িয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়।
ফের বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম
মিল মালিকরা প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল গ্রাহক পর্যায়ে ১৭৫ টাকা এবং প্রতি লিটার বোতলজাত তেল ১৯২ টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন।
এরপর থেকে বাজারে এখন পর্যন্ত এ দরের আশেপাশেই তেল বিক্রি হচ্ছে।