যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চায় দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই। এ বিষয়ে কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রিকে (সিবিআই) সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।ঢাকা সফররত সিবিআই সভাপতি ও বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য লর্ড করণ বিলিমোরিয়ার সৌজন্যে গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে এফবিসিসিআই আয়োজিত নেটওয়ার্কিং ডিনারে এ আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের পর যুক্তরাজ্যের বর্তমান বাণিজ্য সহযোগিতাগুলো অব্যাহত রাখার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে লর্ড করণ বিলিমোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানান মো. জসিম উদ্দিন। দুদেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়ানো ও দক্ষতা উন্নয়নে এফবিসিসিআই ও সিবিআইয়ের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সইয়ের প্রস্তাবও দেন তিনি।বর্তমানে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ৫ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটিতে রফতানি হয়েছিল ৪ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। বিপরীতে আমদানি ছিল শূন্য দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ আহ্বান করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি ও অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, তথ্যপ্রযুক্তি, প্লাস্টিক, পেট্রোকেমিক্যাল, জাহাজ নির্মাণ, পর্যটন, অবকাঠামো, পেট্রোলিয়াম ও জ্বালানি খাতে দুদেশের বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন স্বল্পোন্নত আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়াসহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরবর্তী ধাপগুলোতেও যুক্তরাজ্যকে পাশে পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন।সিবিআই সভাপতি ও বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য লর্ড করণ বিলিমোরিয়া দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ বাড়াতে দুদেশের মধ্যে আস্থার উন্নয়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, দুদেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে বাংলাদেশী কৃষিপণ্য রফতানির সম্ভাব্যতা যাচাই বিষয়ে গবেষণা হতে পারে।
এছাড়া যুক্তরাজ্যের আউটসোর্সিং বাজারে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের অংশগ্রহণ বাড়ানো, বাংলাদেশী চিকিৎসক, নার্স, কেয়ারগিভারসসহ অন্যান্য জনশক্তি রফতানি, যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে দুই দেশের বেসরকারি খাতকে কাজ করার পরামর্শ দেন মাসুদ বিন মোমেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে ব্রিটিশ বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে।
আরো নতুন ব্রিটিশ কোম্পানি যেন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে, সেজন্য বাংলাদেশকে উদ্যোগ নিতে হবে।