জাতির পিতার হত্যাকারী রাশেদ চৌধুরী এখনও যুক্তরাষ্ট্রেই রয়ে গেছে৷ তাকে ফেরত দেয়ার জন্য বারবার দেশটিকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে৷ অথচ সেই যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার-মানবতার কথা বলে কী করে এই খুনিকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে?
শনিবার (১ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে হোটেল রিজ কার্ল্টনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী নেতাকর্মীদের যার যা যোগাযোগ রয়েছে বিদেশে, তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে (রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে) কথা বলতে হবে। বিশেষ করে এখানকার যারা জনপ্রতিনিধি রয়েছে৷ কেননা তাদেরও ভোটের বিষয় রয়েছে৷ আর বাংলাদেশিরা তো বেশিই ভোট দিতে যায়৷
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের কিছু লোক, দেশের মধ্যে অপকর্ম করে বিদেশে ভেগে গেছে৷ এখন তারা আঁতেল সেজে প্রতিদিনই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে যাচ্ছে৷
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ হয়ে তারা যে মিথ্যা অপবাদগুলো ছড়াচ্ছে, এসবের জবাব ঠিকমতো দিতে হবে৷ আমরা রাতদিন খেটে বাংলাদেশের উন্নয়ন করার চেষ্টা করি৷ আর এরা বিদেশে বসে দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে৷
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশ আজ উন্নয়নের স্তরে উন্নীত হয়েছে৷
নিউইর্য়কে ইউএনজিএ’র ৭৭তম অধিবেশন ও উচ্চ পর্যায়ের অন্যান্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে ওয়াশিংটন ডিসিতে রয়েছেন। ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য ১৫ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লন্ডনে অবস্থান করার পর তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইর্য়কে যান।
প্রধানমন্ত্রী আগামী ৪ অক্টোবর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।